জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করা প্রয়োজন। স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি ক্রয়ের জন্য এমএসপিএ অনুস্বাক্ষরকারী ২১টি প্রতিষ্ঠানের কাছে এলএনজি সরবরাহের দরপ্রস্তাব আহ্বান করে ই-মেইলে চিঠি পাঠানো হয়। এলএনজি কার্গো আমদানির দরপত্র প্রক্রিয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। অপর দু’টি হচ্ছে- সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড ও গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড। এর মধ্যে ভিটল এশিয়ার প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনএজির প্রস্তাবিত দর ছিল ১১ দশমিক ৬৮ ডলার এবং গানভর-এর প্রতি এমএমবিটিইউ প্রস্তাবিত দর ছিল ১৩ দশমিক ১০ ডলার। এমতাবস্থায়, সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডকে মনোনীত করা হয়েছে।
এবার সুইজারল্যান্ড থেকে এক কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক
গ্যাস) আমদানি করবে সরকার। এই গ্যাস আমদানি করতে ব্যয় হবে ৪০৯ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস
সরবরাহের লক্ষ্যে আগামী সেপ্টেম্বরের জন্য স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো
(৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি চলতি
পঞ্জিকা বছরের ১৮তম এলএনজি আমদানি।
জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড
থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে তিন কোটি ৭৫ লাখ ৩১ হাজার ২০০
ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় ৪০৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির
দর ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ১৭ ডলার। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির
আগামী বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে
পারে।
সূত্র জানায়, দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য
কাতার ও ওমানের সাথে দু’টি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা
হচ্ছে। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির মূল্য স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে বহু গুণে
বেড়ে যাওয়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট
মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ ছিল। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ
ঘাটতির ফলে শিল্প খাতে উৎপাদন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে স্বাভাবিক
গ্যাস সরবরাহে বিঘœ ঘটে।
এ অবস্থায় স্পট মার্কেট থেকে উচ্চ মূল্যে এলএনজি আমদানির বর্ধিত ব্যয়
নির্দিষ্ট শ্রেণীর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আদায়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে
২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জারিকৃত এসআরও অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত
গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ঘনমিটার, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের
মূল্য ৩০ টাকা ঘনমিটার এবং বাণিজ্যিক (হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও
অন্যান্য) ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০.৫০ টাকা ঘনমিটার নির্ধারণ করা
হয়, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।