বাবা মারা গেছেন সেই ২০১৯ সালে, মাঝে চার বছর কেটে গেছে। এতদিন পর মৃত বাবার হৃদস্পন্দন শুনতে পান তিন বোন। বাবার হৃদযন্ত্র ওঠানামা করার প্রতিটি শব্দ কানে বাজে তাঁদের!
কী অবাক হলেন শুনে? তবে বাস্তবে এমনই এক গল্প শেয়ার করেছে টুডে শো নামে এক সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ। সেখানে বলা হয়েছে, আমেরিকার কানেটিকাটের বাসিন্দা কিসান্দ্র সান্তিয়াগো নামে এক বছর ২২-এর যুবতী ও তাঁর বোনেরা আজও তাঁদের বাবার হৃদস্পন্দন শুনতে পান।
কিন্তু কীভাবে? সোশ্যাল মিডিয়ার ওই পেজেই বিষয়টি খোলসা করা হয়েছে। ২০১৯ সাল সান্তিয়াগো ও তাঁর দুই বোন রেখে মারা যান তাঁদের বাবা। এভাবে তাঁদের বাবার চলে যাওয়া প্রথমে মেনে নিতে পারেননি তাঁরা কেউই। কীভাবে বাবাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন সান্তিয়াগোরা।
ঠিক করেন, বাবার হৃদপিণ্ড দান করবেন। যাতে অন্যের মধ্যেও বেঁচে থাকেন তিনি। সেসময় সান্তিয়াগো ভেবেছিলেন, একদিন তিনি ও তাঁর ভাইবোনেরা যাতে বাবাকে অন্য কারওর মধ্যে বেঁচে থাকতে দেখতে পান। সেটাই সত্যিই হয়েছে।
কিসান্দ্রর বাবা এস্তেবান ৩৯ বছর পর মারা যান ২০১৯ সালে। বাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, তারপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় কোমায় চলে যান এস্তেবান। লাইফ সাপোর্টও দিতে হয়। কিন্তু কিসান্দ্র ও তাঁর পরিবার ঠিক করেন বাবাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে দেবেন। তাঁরা ঠিক করেন একজন অভাবী মানুষকে বাবার হৃদযন্ত্র দান করবেন।
কিসান্দ্র বলেন, ‘আমার বাবা বেঁচে থাকলেও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতেন, খুশি হতেন।’ বাবার খুশির কথা ভেবেই কিসান্দ্ররা এই সিদ্ধান্ত নেন। ৪ বছর পর কিসান্দ্ররা খুঁজে পেলেন এমন একজনকে যাঁকে তাঁরা বাবার হৃদপিণ্ড দান করতে পারবেন।