রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজার এসে পর্যটকরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রেখে সারা দিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরে যেতে পারবেন নিজ গন্তব্যে। কক্সবাজারে ঝিনুকের আদলে নির্মাণাধীন দেশের আইকনিক রেলস্টেশনটির সৌন্দর্য প্রায় পুরোটাই ফুটে উঠেছে। ইতোমধ্যে ভবনের মূল কাঠামোসহ ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। ছয়তলা স্টেশন ভবনে থাকছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমলসহ আধুনিক সুবিধা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের পুরো রেলপথ ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে চায় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা বলছেন, নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ না হলেও বোঝা যায়- গতানুগতিক নির্মাণশৈলীর বাইরের কোনো স্থাপনা এটি।
পর্যটন নগরীতে বিশ্বমানের এবং দৃষ্টিনন্দন এ রেলস্টেশনটি সহজেই নজর কাড়তে সক্ষম হবে। প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা খরচ করে আসা যাবে কক্সবাজার। বছরে এই স্টেশনে আসা-যাওয়া করবেন প্রায় ২ কোটি যাত্রী। মধ্যবিত্তরা যেন কম খরচে কক্সবাজার এসে সমুদ্র দর্শন করতে পারে, সেই আয়োজনটা আমরা করছি। আশা করছি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী আমরা করতে পারব। ভবনটির ৯০ শতাংশ হলেও পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৬ শতাংশ।