সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো ছিল বলে মনে করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। সংস্থাটির পূর্বাভাস ছিল, গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। কিন্তু এখন প্রাথমিক হিসাবে এডিবি মনে করছে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি তার চেয়ে বেশি হবে।
বুধবার (১৯ জুলাই) প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে এডিবি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
একইসঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এপ্রিলে এডিবি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস করেছিল, এবারও তা অপরিবর্তিত রেখেছে সংস্থাটি। এডিবি বলেছে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি যে হারে কমার আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেই হারে কমেনি। সেই সঙ্গে আমদানি কমেছে প্রত্যাশিতভাবে।
দেশের উৎপাদন খাতের ভালো ভূমিকা ছিল গত বছর। এডিবি বলছে, ছোট-বড় সব ধরনের উৎপাদনমুখী কারখানা গত অর্থবছরের সরকারি সহায়ক নীতির সুবিধা নিয়ে প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করেছে। সেবা খাতও ছিল চাঙা। এ ছাড়া বন্যা, সাইক্লোন ও খরার কারণে যে ফসলহানি হয়েছে তা ভর্তুকি, প্রণোদনা ও অন্য ব্যবস্থার কারণে কিছুটা প্রশমন করা গেছে।
মানুষের ভোগব্যয়ও প্রত্যাশিতভাবে বেড়েছে, সেই সঙ্গে সরকারি বিনিয়োগও বেড়েছে। সব মিলিয়ে এডিবি মনে করছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যাবে।
প্রতিষ্ঠানটি এ বছর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস করেছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
২০২৩ সালে বাংলাদেশের জন্য মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস বৃদ্ধি করেছে এডিবি। তবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) অনুযায়ী, জ্বালানি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে যাওয়ায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে চলতি ২০২৩ সালের জন্য এপ্রিলের পূর্বাভাসে উন্নয়নশীল এশিয়ায় মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস করা হয়েছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। এবার তারা বলছে, মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অবশ্য ২০২৪ সালের জন্য মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ৩ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ করা হয়েছে।