২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৩০:১৮ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশ-ভারতের কানেকটিভিটি যত বাড়বে, সম্পর্ক ততই জোরালো হবে
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৭-২০২৩
বাংলাদেশ-ভারতের কানেকটিভিটি যত বাড়বে, সম্পর্ক ততই জোরালো হবে File Photo


বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কানেকটিভিটি যত বাড়বে, ততই দুই দেশের লোকজনের মধ্যে সম্পর্ক জোরালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

মঙ্গলবার ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরে জি-২০ দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সাইড লাইনে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি যত বাড়বে, ততই দুই দেশের লোকজনের মধ্যে সম্পর্ক জোরালো হবে। দুই দেশের অর্থনীতির এলাকায় সহযোগিতা বৃদ্ধির জায়গাগুলো চিহ্নিত করে একযোগে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন নির্মলা সীতারামন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। 

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ভারতের নাম ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও ভারত তিনটি নাম মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। ভারত শুধু বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশীই নয়, আমাদের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতের সঙ্গে রয়েছে আমাদের ইতিহাসের, ভাষার, সংস্কৃতির, মনমানসিকতার গভীর সমন্বয়। রয়েছে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার সমৃদ্ধ ইতিহাস।

জি-২০ জোটে বাংলাদেশ সদস্য না হওয়া স্বত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ‘গেস্ট কান্ট্রি’র মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। আয়োজক দেশ ভারত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে আয়োজক দেশ ভারত বাংলাদেশকে ‘গেস্ট কান্ট্রি’ হিসেবে আমন্ত্রণ করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে দুই দেশের অর্থমন্ত্রী বিশদ আলোচনা করেন।

পরিশেষে মুস্তফা কামাল, ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন দেখতে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান।