মাথায় ঘোমটা দেওয়া গাউন, পোশাকের ঝালর লুটোচ্ছে চলার পথেও। পিছন থেকে সেই বস্ত্রপ্রান্ত ধরে রয়েছেন এক ব্যক্তি। কান-এর রেড কার্পেটে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সেই স্মিতহাস্য, গর্বিত ছবিতে নেতিবাচক মন্তব্য করায় পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর উপর চটে লাল উরফি জাভেদ। উরফির দাবি, ফ্যাশনের কিছুই বোঝেন না বিবেক, অতএব তাঁর মন্তব্য করাও উচিত হয়নি। বিবেকের টুইটের উত্তরে উরফির প্রতিক্রিয়া নিয়ে সরগরম মায়ানগরী।
বিবেক স্পষ্ট কথা বলেন, উরফিও ঠোঁটকাটা। বিবেক অবশ্য উরফিকে নিয়ে বলেননি কিছু। সমস্যার সূত্রপাত সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে রেড কার্পেটে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের ‘ব্যতিক্রমী’ পোশাক নিয়ে। কালো ও সোনালি রঙের সেই হুডেড গাউনে ঐশ্বর্যার ছবি ভাইরাল হতেই আর চুপ করে থাকতে পারেননি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক। টুইট করে ঐশ্বর্যার ছবি ভাগ করে বিবেক প্রশ্ন তোলেন, “পোশাক সামলানোর জন্যও চাকর দরকার পড়ে?”
ঐশ্বর্যার পিছন থেকে তাঁর পোশাকের প্রান্ত ধরে ছিলেন দাঁড়িয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। ব্যাপারটা ভাল লাগেনি বিবেকের। তিনি লেখেন, “আপনারা কেউ কি ‘কস্টিউম স্লেভস’(পোশাক সামলানোর দাস)-এর কথা শুনেছেন? সাধারণত মহিলারাই এই পেশায় থাকেন, এ ক্ষেত্রে অবশ্য এক জন পুরুষ রয়েছেন। ভারতেও প্রায় সব মহিলা তারকার সঙ্গে এঁদেরকে এখন দেখা যায়। আমরা কেন এ রকম মূর্খ এবং অত্যাচারী হয়ে যাচ্ছি? শুধু মাত্র এই ধরনের অস্বস্তিকর পোশাক পরব বলে?”
টুইটে বিবেক অবশ্য স্পষ্ট করতে চান, তাঁর নিশানা ঐশ্বর্যা নন। পরিচালক লেখেন, “ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে নিয়ে আমি কিছু বলছি না। আমার প্রশ্ন ‘পোশাক সামলানোর চাকরবৃত্তি’-র এই অদ্ভুত ধারণাটা নিয়ে। ঐশ্বর্যা এর জন্য দায়ী নন, তিনি তো নিছক মডেল/ ফ্যাশন অ্যাম্বাসাডর।”
বিবেকের এই টুইট দেখেই চটে গেলেন উরফি। তিনি পাল্টা টুইট করে লিখলেন, “আমি জানতে চাই, কোন ফ্যাশন স্কুল থেকে আপনি ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন? দেখে মনে হচ্ছে, ফ্যাশন সম্পর্কে আপনার অনেক জ্ঞান রয়েছে। ‘ফ্যাশন’ ছবিটির পরিচালক আপনারই হওয়া উচিত ছিল।” প্রসঙ্গত, ‘ফ্যাশন’(২০০৮) ছবিটির পরিচালক ছিলেন মধুর ভাণ্ডারকর।
কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শনিবারই সকন্যা ফিরেছেন ঐশ্বর্যা। দীর্ঘ দিন ধরেই এই চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বর্যার উপস্থিতি নিয়মিত।