বৃহত্তর স্বার্থে আল্লাহ তাআলা দেরিতে দোয়া কবুল করেন। যেহেতু মহান আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, তিনি জানেন যে তার বান্দা যে বিষয়ে দোয়া করেছেন সেটি নিতান্তই ছোট। তিনি তাকে বৃহত্তর আরেকটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য পিছিয়ে দেন। হতে পারে, বান্দা তখন দোয়া নাও করতে পারে কিংবা বৃহত্তর সেই স্বার্থের কথা চিন্তা করতে পারছে না অথবা পরকালের বড় বিপদে রক্ষা করা ও মুক্তির জন্য তার ঐ দোয়াকে দুনিয়ার জন্য কবুল করা হয় না। এর বিনিময়ে পরকালে তাকে উত্তম বিনিময় দেওয়া হবে।
এ সব কারণে মহান আল্লাহ কোনো কোনো সময় দোয়া দেরিতে কবুল করেন। তাই দোয়াকারীর হতাশ হওয়া চলবে না। তাছাড়া তাড়াহুড়ো করলেও দোয়া দেরিতে কবুল হয়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকের বর্ণনায় বিষয়টি এভাবে সুস্পষ্ট করেছেন-
হজরত ফোদালা ইবনে ওবায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে নামাজে দোয়ারত অবস্থায় দেখলেন যে, সে আল্লাহর প্রশংসা ও নবিজির উপর দরুদ পড়েনি। তখন তিনি (নবিজি) বললেন, 'সে তাড়াহুড়ো করেছে।' তারপর তিনি তাকে কাছে ডাকেন এবং তাকে কিংবা অন্য কাউকে বলেন, 'তোমাদের কেউ নাাজ পড়লে সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে ও গুণগান গায়। নবির উপর দরুদ পড়ে এবং তারপর যা ইচ্ছা তা যেন দোয়া করে।' (তিরমিজি)
এ হাদিস থেকে বুঝা গেলো, তাড়াহুড়ো করে দোয়া করলে যেন তা দ্রুত কবুল হয় না। আবার আল্লাহর প্রশংসা ও নবির প্রতি দরূদ না পড়লেও দোয়া দ্রুত কবুল হয় না। তাই দোয়া কবুল হওয়ার আশায় ধীরস্থিরভাবে আল্লাহর তাসবিহ-তাহলিল এবং নবির প্রতি দরূদ পড়ে দোয়া করা জরুরি।
মনে রাখতে হবে
দোয়া করার পর যদি তা কবুল না হয়; তবে মহান আল্লাহ এই দোয়া সংরক্ষিত রাখবেন। এরচেয়ে বেড় কোনো চাহিদায় এ দোয়া তার জন্য কার্যকরী হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।