০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০২:২৮:০৩ অপরাহ্ন


হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ নেই, তত্ত্বাবধায়ক আর ফিরবে না: কাদের
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৪-২০২৩
হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ নেই, তত্ত্বাবধায়ক আর ফিরবে না: কাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ নেই, তত্ত্বাবধায়ক আর ফিরবে না: কাদের


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুলের নালিশ দিতে দিতে এমন অবস্থা হয়েছে এখন জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যাবে। এসব হুমকি-ধমকি দিয়ে কোনো লাভ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০১ সালের পক্ষপাতমূলক তত্ত্বাবধায়ক আর এদেশে ফিরে আসবে না। বিএনপি যতই কান্নাকাটি, চিৎকার-চেঁচামেচি করুক তত্ত্বাবধায়ক আর ফিরবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে খাদ্যসামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদেশি সুতার টানে পুতুল নাচের খেলা চলছে বিএনপির রাজনীতিতে- এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি প্রভুদের সুতার টানে নাচে বিএনপি, দালালেরা নাচে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রাখেন, বিএনপি কোথায় পেল এত টাকা? নির্বাচনকে বানচাল করতে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায় তারা। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে বিদেশি প্রভুরা সুতার টান ছাড়ে। মির্জা ফখরুল একজন পুতুল। তারেক জিয়ার ধমকেই টিকে না। সে আবার আওয়ামী লীগকে ভয় দেখায়। হঠাৎ শুনি হাসপাতালে ভর্তি। রোদের জন্য নয়, তারেকের হুমকি খেয়ে হাসপাতালে যায়। বিএনপি নামক দলটা অন্দোলন করছে অনেক। আন্দোলনের গতি আছে? গরুর হাটে জখম হয়ে গেছে। 

বিএনপি রোজা-রমজানে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সতর্ক আছি, সজাগ আছি। তারা কী চায় আমরা জানি। তারা এখন চোরাগোপ্তা পথে সরকার হটাতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ এত কষ্টের মাঝেও জানে শেখ হাসিনা একজন সৎ প্রধানমন্ত্রী। তাকে হটানোর প্রয়োজন জনগণের নেই। আছে বিএনপি আর তাদের বিদেশি প্রভুদের।প্রধান অতিথির বক্তব্যে মার্কিন গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো নির্বাচন মেনে নেননি। ভোট চুরির অভিযোগ এনেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে এখনো মানেন না। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে দুইজন কুষ্ণাঙ্গ আইনপ্রণেতার সদস্যপদ বতিল করা হয়েছে। অথচ একই অপরাধে একজন স্বেতাঙ্গকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সাদা-কালোয় পার্থক্য আছে। এ হচ্ছে আমেরিকার গণতন্ত্র। তাদের নিজের দেশের গণতন্ত্রের এমন অবস্থা। সে আবার আমাদের গণতন্ত্রের কী ছবক দেবে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল মিটে ফেলাসহ অভিযুক্ত নেতাদের সংশোধন হওয়ার কথা বলেন তিনি।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে খাদ্যসামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

পরে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে খাদ্যসামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী। যুগান্তর।