এপ্রিল মাসজুড়েই দাবদাহ, ঘূর্ণিঝড় এবং তীব্র কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে। চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ দুটি লঘুচাপের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। কয়েক দিন বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক কালের কণ্ঠকে বলেন, চলতি মাসের আবহাওয়া মিশ্র অবস্থান বেশি থাকবে। এপ্রিল মাসজুড়েই ৩ থেকে ৫টি মাঝারি শিলাবৃষ্টিসহ বজ্রপাতের শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া এক থেকে দুটি তীব্র কালবৈশাখীও হতে পারে। তীব্র ঝড়ে সাধারণত বাতাসের বেগ ৬০-৮০ কিলোমিটার কিংবা তার চেয়ে বেশি গতিতে প্রবাহিত হতে পারে। দুই থেকে তিন দিন মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহের শঙ্কা রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সেই সঙ্গে এপ্রিলের শেষার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার শঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।
সোমবার (৩ এপ্রিল) বৃষ্টিপাত কমার পর তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার (২ এপ্রিল) দেশের ২৭টি জেলা ও অঞ্চলে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সীতাকুণ্ডে ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া রাঙামটিতে ৪০ মিমি এবং ফেনীতে করা হয়েছে ৩৭ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড।