চলতি মৌসুমের সবচেয়ে ভয়ংকর কালবৈশাখী ঝড় কয়েকদিনের মধ্যেই দেশে আঘাত হানতে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ পূর্বাভাস দেন।
পোস্টে গবেষক জানিয়েছেন, আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী আবারও কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি এই সপ্তাহের মধ্যেই চলতি মৌসুমের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় দেশের বেশি সংখ্যক জেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।
পলাশ তার দেয়া পূর্বাভাসকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম ভাগে দেয়া পূর্বাভাসে জানান, আগামী ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এরমধ্যে এপ্রিলের ১ তারিখে সবচেয়ে বেশি ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে।
পূর্বাভাসের দ্বিতীয় ভাগে তিনি বলেন, ৩১ মার্চ সমগ্র বাংলাদেশের উপর দিয়ে এই মৌসুমের সবচেয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী, ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে প্রায় শতভাগ। ফলে এই দিন বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছি। যদিও বাংলাদেশে গত দশকে টর্নেডোর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে তবুও এই দিনে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জেলায় টর্নেডোর সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পলাশ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই ঝড়ে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাজবাড়ী, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।