২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৪৫:৪৩ পূর্বাহ্ন


সমকামিতার নামে ফাঁদ পেতে ভয়াবহ প্রতারণা, হত্যা
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৩-২০২৩
সমকামিতার নামে ফাঁদ পেতে ভয়াবহ প্রতারণা, হত্যা সমকামিতার নামে ফাঁদ পেতে ভয়াবহ প্রতারণা, হত্যা


স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা একটি সমকামী বা গে চ্যাটিং অ্যাপের সদস্য। বিশ্বে অ্যাপটির গ্রাহক প্রায় ৫০ মিলিয়ন। ইমতিয়াজ হত্যা মামলার আসামিদের খোঁজ করতে গিয়ে ডিবি এই তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে।

ডিবি জানায়, তারা তথ্য পেয়েছে যে বিভিন্ন পেশার অনেক বাংলাদেশি অ্যাপটির সদস্য। এক উকিল, এক চিকিৎসক এবং অন্য পেশার একজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ইমতিয়াজ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন মিল্লাত হোসেন মুন্না ওরফে মুন (১৯), এহসান ওরফে মেঘ (২৩) ও আনোয়ার হোসেন (৩৮)। ডিবি জানায়, তাঁরা সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্রের সদস্য। তাঁদের সিরাজগঞ্জসহ তিনটি স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতে পলাতক আছেন চক্রের দুই সদস্য।

গ্রেপ্তার মুন্নার জবানবন্দিতে উঠে এসেছে হত্যা ও সমকামিতার নামে ফাঁদ পেতে ভয়াবহ প্রতারণার তথ্য। মুন্না জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন, সমকামী চ্যাটিং অ্যাপের অনুসারী ছিলেন স্থপতি ইমতিয়াজও। এর সূত্রে আলিফের সঙ্গে পরিচয় হয় ইমতিয়াজের। গত ৭ মার্চ আলিফ তাঁর সমকামী সঙ্গী আরাফাতের কলাবাগানের ক্রিসেন্ট রোডের বাসায় ইমতিয়াজকে ডেকে নেন। সেখানে ছিলেন আরাফাত, মুন্না, মেঘসহ কয়েকজন। তাঁরা ছবিও তোলেন। সেখানে ফাঁদ পেতে করা হয় ‘ব্ল্যাকমেইল’। ইমতিয়াজের কাছে দাবি করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান ইমতিয়াজ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আরাফাতের নির্দেশে ব্যাপক মারধর করা হয় ইমতিয়াজকে। এক পর্যায়ে ইমতিয়াজ মারা গেলে তাঁর মরদেহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের নির্জন স্থানে ফেলে পালিয়ে যান আরাফাত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সমকামী মুন্না, মেঘ ও আলিফ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনার পর থেকে ডিবির তেজগাঁও বিভাগের নেতৃত্বে টানা অপারেশনে মেঘ, আনোয়ার ও মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার একটি গ্যারেজ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরাফাত ও আলিফ নামের দুজন ঘটনার পর ভারতে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে।