পাসপোর্ট সেবায় বিদ্যমান ভোগান্তি লাঘবে বিশেষ কল সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি)। এজন্য বিটিআরসি থেকে একটি হেল্প লাইন নম্বর বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ৩১ মার্চ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে পারে।
সূত্র জানায়, দেশের অভ্যন্তরে ১৬৪৪৫ নম্বরে এবং বিদেশ থেকে ০৯৬৬৬৭১৬৪৪৫ নম্বরে কল করলে পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মিলবে। এতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি), মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) ও ই-পাসপোর্টের আবেদনসংক্রান্ত বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পাবেন সেবাপ্রার্থীরা। কলসেন্টার খোলা থাকবে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা। তথ্য দেওয়ার জন্য প্রতি শিফটে ১৬ জন কলসেন্টার প্রতিনিধি (এজেন্ট) মাইক্রোফোন হাতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাসপোর্ট কল সেন্টারের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা এবং অধিতপ্তরের সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভূঞা মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, কল সেন্টার চালু হলে পাসপোর্ট সেবায় আমূল পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, পাসপোর্টসংক্রান্ত সব তথ্য ঘরে বসেই মিলবে। ফলে পাসপোর্ট ঘিরে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। এতে জনভোগান্তি কমবে।
সূত্র জানায়, পাসপোর্ট হেল্প লাইন প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে খরচ হচ্ছে ২১ কোটি টাকা। ৫ বছরের জন্য কল সেন্টার পরিচালনা করবে সিনোসিস আইটি লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ৩৩৩, স্বাস্থ্য বাতায়নসহ সরকারের বেশ কয়েকটি হেল্প লাইন পরিচালনা করছে। উন্মুক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে পাসপোর্ট হেল্প লাইন পরিচালনার কাজ পায় সিনোসিস। রাজধানীর কাওরান বাজারে স্থাপিত সিনোসিসের কল সেন্টার থেকে হেল্প লাইন পরিচালিত হবে। এজন্য কোম্পানির ৪৭ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
জানা যায়, পাসপোর্ট হেল্প লাইন টোল ফ্রি সেবা নয়। হেল্প লাইনে কল করলে সংশ্লিষ্ট টেলিফোন অপারেটর নির্ধারিত কল চার্জ প্রযোজ্য হবে। তবে সরাসরি কল ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, মেসেঞ্জারসহ সব ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফরম থেকে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমেও তথ্য পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কল সেন্টারের মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবা আরও সহজ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার। একই সঙ্গে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন তিনি।