২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০১:২৯:৪৬ পূর্বাহ্ন


মাঠ প্রশাসন গতিশীল করতে ডিসি-বিভাগীয় কমিশনারদের ১৩ দফা নির্দেশনা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৩-২০২৩
মাঠ প্রশাসন গতিশীল করতে ডিসি-বিভাগীয় কমিশনারদের ১৩ দফা নির্দেশনা ফাইল ফটো


করোনা পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানা কারণে সাধারণ মানুষের জীবন অসহনীয় হয়ে উঠছে। লাগামহীন বাজারে নেই কোনো নজরদারিও। ব্যয় সঙ্কোচন করে কোনোমতে টিকে আছে বহু পরিবার। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে মানুষ চরমভাবে আর্থিক চাপে পড়েছে। এমন বাস্তবতায় নড়ে চড়ে বসেছে সরকার। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে মাঠ প্রশাসনের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল এবং জনমুখী করতে বিভাগীয় কমিশনার-জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ১৩ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রিপরিষদের দেয়া ১৩ দফা নির্দেশনাগুলো হলো, জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৩-এ প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ২৫ দফা দিকনির্দেশনা মাঠপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়মিত প্রেরণ করত হবে। পর্যাপ্ত মজুদ এবং সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও কেউ যেন মজুদ করে পণ্যমূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা করতে না পারে সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের যেন অহেতুক সমস্যা না হয় সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ই-মিউটেশন সিস্টেমে মিউটেশনের আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। বিভিন্ন অফিস যথাযথভাবে পরিদর্শন করতে হবে এবং পরিদর্শনের সময় কনিষ্ঠ সহকর্মীদের সাথে নিতে হবে। জেলায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য (বাজেটসহ) এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতির হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সব তথ্য (উপকারভোগীর সংখ্যা, বাজেট ইত্যাদি) সংরক্ষণ করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। আসন্ন রমজান মাসে যথাযথভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি কৃষি বিভাগের সাথে সমন্বয় করে মনিটরিং করতে হবে। গুজব সৃষ্টি ও অপপ্রচারের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং জনগণকে সচেতন করতে হবে। কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ সব কার্যক্রম যথাযথভাবে তদারকি করতে হবে।