০৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০২:১৮:৪৬ পূর্বাহ্ন


ন্যানো প্রযুক্তিতে দেশের প্রথম স্মার্ট সড়ক হবে সিলেটে
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২৩
ন্যানো প্রযুক্তিতে দেশের প্রথম স্মার্ট সড়ক হবে সিলেটে ফাইল ফটো


পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক ন্যানোপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশে প্রথমবারের মতো স্মার্ট সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক বিভাগ। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হবে সিলেটে।

এক্রিলিক পলিমার’ একটি ন্যানোপ্রযুক্তি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের রাস্তা নির্মাণের বিস্ময়কর প্রযুক্তি এটি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত দেশে তৈরি হচ্ছে স্মার্ট সড়ক।

গবেষক ও প্রকৌশলীদের দাবি, এই প্রযুক্তির ব্যবহারের সময় ও নির্মাণ খরচ কমে যাওয়ার পাশাপাশি টেকসই এবং সড়কের নিরাপত্তাও হবে নিশ্চিত।

বন্যা ও বৃষ্টিপাতবহুল অঞ্চলে পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয় সড়ক। এতে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেড়ে যায়। বিষয়টি মাথায় রেখে অতি টেকসই ও সাশ্রয়ী সড়ক নির্মাণেই এমন উদ্যোগ।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)-সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও দেশে ন্যানো টেকনোলজি গবেষণা দলের প্রধান মো: ফজলে রব্বে জানান, এ প্রযুক্তিতে সিলেট অঞ্চলের তিনটি সড়ক নির্মাণের একটি ডিপিপি (ডেভেলপম্যান্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) প্রণয়ন করা হয়েছে। এ টেকনোলজিতে ৪৮ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি এ ডিপিপি সওজ-এর প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে প্রেরণ করেছে সিলেট সড়ক জোন। ডিপিপি অনুমোদন পেলে এটি হবে এ টেকনোলজিতে তৈরী দেশের প্রথম কোন প্রকল্প।

ন্যানোপ্রযুক্তির ব্যবহারে একমাসে ১০০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ সম্ভব। এতে খরচ কমবে অন্তত ৩০ শতাংশ। আর অবকাঠামোর স্থায়িত্বের কারণে রক্ষণাবেক্ষণ খরচও হবে কম।

প্রধান প্রকৌশলী আরও বলেন, এ্যাক্রিলিক পলিমার ব্যবহার করে নির্মিত সড়কের ভিত্তি সম্পূর্ণ পানিরোধী হওয়ায় বন্যার কারণে সড়ক পানিতে নিমজ্জিত থাকলেও সড়কের ভিত্তি কোনরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। স্টিল ফাইবার ব্যবহার করে কংক্রিট পেভমেন্ট নির্মাণ করলে এর স্থায়িত্ব হবে কমপক্ষে ৫০ বছর।

স্টিল স্ল্যাগ দেশের লৌহ নির্মাণ শিল্পের একটি উপজাত-যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। ফলে সড়ক নির্মাণে এর ব্যবহার একদিকে যেমন সড়ক মজবুত ও টেকসই করবে; অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ হতে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি পাথর কুচি থেকে স্টিল স্ল্যাগ-এর মূল্য তুলনামূলক কম।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।