২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৭:০৩:৫৭ অপরাহ্ন


চট্টগ্রাম রেল স্টেশন উন্নয়নে আগ্রহী ভারত
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৩-২০২৩
চট্টগ্রাম রেল স্টেশন উন্নয়নে আগ্রহী ভারত ফাইল ফটো


চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের আধুনিকায়ন ও বিদ্যমান মিটার গেজ লাইনকে বদলে ব্রড গেজে রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে একটি প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি একদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে সংযোগ, অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব দিকে সম্প্রসারণের মাধ্যমে ভারতীয় বিভিন্ন বন্দর থেকে আসা পণ্য দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিবহন এ উদ্যোগের অন্যতম উদ্দেশ্য। ভারতের নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ খবর প্রকাশ করেছে দেশটির গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। যদিও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম স্টেশনের উন্নয়নে ভারত থেকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব তারা পাননি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়ন, বিদ্যমান মিটার গেজ রেলপথকে ব্রড গেজে রূপান্তর এবং রেলওয়ের অবকাঠামোগুলোকে ঢেলে সাজানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব এরই মধ্যে পাঠানো হয়েছে। এ প্রস্তাবে রেলপথটি উত্তর-পূর্ব দিকে সম্প্রসারণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত আছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খবরটি ছেপেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রস্তাব বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে আসেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম স্টেশনের উন্নয়নে ভারতীয় রেলওয়ের কোনো প্রস্তাব এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। এ ধরনের কোনো বিষয় বা খবরও এখন পর্যন্ত আমার নজরে আসেনি।’

একই কথা জানিয়ে রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভারতীয় অর্থায়নে বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ভবিষ্যতেও একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম স্টেশনের উন্নয়নে কোনো পরিকল্পনা নেই। ভারত থেকে কোনো প্রস্তাবও আমরা পাইনি।’

এদিকে বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পর্যায়ক্রমে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রেলপথকে ব্রড গেজে উন্নীত করা হবে। এ লক্ষ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত অংশটি ডুয়াল গেজে রূপান্তর করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ঋণসহায়তায়।

অন্যদিকে লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা হয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী পর্যন্ত বিদ্যমান মিটার গেজ রেলপথকে ডুয়াল গেজে রূপান্তরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ‘লাকসাম-চিনকি আস্তানা-পাহাড়তলী মিটার গেজ ট্র্যাককে ডুয়াল গেজ ডাবল ট্র্যাকে রূপান্তর’ শীর্ষক প্রস্তাবিত একটি প্রকল্পের দলিল প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলপথটির নির্মাণ ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৫ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। এডিবির ঋণসহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে রেলওয়ে।

গাজীপুরে টঙ্গী থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথটিও ব্রড গেজে রূপান্তরের পরিকল্পনা করছে রেলওয়ে। প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প ভারতীয় অর্থায়নে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রবর্তনের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন একটি ব্রড গেজ রেলপথ নির্মাণের কাজ চলমান। চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেলপথ এবং কালুরঘাটে নতুন রেল সেতু, নির্মাণ, চট্টগ্রাম নতুন স্টেশন এলাকায় একটি আইকনিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের।