২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৫৫:২২ পূর্বাহ্ন


২০২২ সালে দুর্ঘটনা বেড়েছে ২৯ শতাংশ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০১-২০২৩
২০২২ সালে দুর্ঘটনা বেড়েছে ২৯ শতাংশ ফাইল ফটো


২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সারা দেশে দুর্ঘটনার হার ২৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।

সংগঠনটি তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথে মোট ৭০২৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এর আগের বছর ২০২১ সালে ঘটেছে ৪৯৮৩টি। অর্থাৎ, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দুর্ঘটনা বেড়েছে ২০৪১টি। শতাংশ হিসেবে যা ২৯ শতাংশ।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) ২০২২ সালের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান উপস্থাপনবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় নিচসা। জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ২০২২ সালের সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ক প্রতিবেদন তুলে ধরেন নিসচার চেয়ারম্যান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।  

তিনি জানান, ১১টি জাতীয় দৈনিক ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া, শাখা সংগঠনের প্রতিবেদন, অনুমেয় বা অপ্রকাশিত ঘটনার ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ২৪টি। এর মধ্যে সড়ক পথে ঘঠেছে ৫ হাজার ৭০টি, নৌ পথে ঘটেছে ৭৭টি, রেলপথে ঘঠেছে ২৫৬টি এবং অপ্রকাশিত তথ্য ও হাসপাতালে ভর্তির পর এবং হাসপাতাল থেকে রিলিজের পর মৃত্যু (আনুমানিক ৩০ শতাংশ) ঘটেছে ১ হাজার ৬২১টি।

এসব দুর্ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ১০৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৯ হাজার ৭৮৩ জন। এর মধ্যে সড়ক পথে মারা গেছেন ৫ হাজার ৭৬০ জন, আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৩১ জন। রেলপথে মারা গেছেন ২৭০ জন, আহত হয়েছেন ৫১ জন৷ নৌ-পথে মারা গেছেন ২০৪ জন, আহত হয়েছেন ১৪৪ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১৮৬ জন।  

অপ্রকাশিত তথ্য ও হাসপাতালে ভর্তির পর এবং হাসপাতাল থেকে রিলিজের পর নিহত হয়েছে (আনুমানিক ৩০ শতাংশ) ১ হাজার ৮৭০ জন, আহত হয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সড়ক, নৌ ও রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৫ হাজার ২৪২ জন এবং নারী ছিলেন ৯৯২ জন। পুরুষ আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৩২ জন এবং নারী আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৪ জন।

এছাড়া যানবাহনের ধরন অনুযায়ী চালক ও চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন ২ হাজার ১৮৮ জন।

সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্স কর্তৃক প্রদত্ত ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালনা, লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগই এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে জানিয়েছে নিসচা।  

এছাড়াও সকল ধরনের যানবাহনে অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়া সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে চিহ্নিত করেছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নিসচার ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হক কামাল, মহাসচিব লিটন এরশাদ, উপদেষ্টা মো. হামিদ, ড. আইয়ুবুর রহমান খান, ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম খালিদ মাহমুদ, জিএইচএআই এর কান্ট্রি কোর্ডিনেটর ড. শরীফুল আলম, সিআইপিআরবি এর ডিরেক্টর ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।