তুনিশা শর্মার মৃত্যুতে এবার মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। আলিবাবা-দাস্তান-এ-কাবুল সিরিয়ালের সেটে শনিবার আত্মঘাতী হন তুনিশা। পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া খবর অনুসারে, মৃত্যুর দিন পনেরো আগে বিচ্ছেদ হয়েছিল। অবসাদে ভুগছিলেন তুনিশা। আপাতত পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। তারইমাঝে কঙ্গনা রানাওয়াত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত সরকারকে অনুরোধ করলেন যাতে দেশে মেয়েদের নিরাপত্তা জোরদার করে ‘বহুবিবাহ ও অ্যাসিড আট্যাক’-এর উপর কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নিজের দীর্ঘ নোটে কঙ্গনা জুড়েছেন হ্যাশট্যাগ তুনিশা শর্মা। লেখেন, ‘একজন মহিলা সবকিছুই মানিয়ে নিতে পারে, প্রেমের হার, বিয়ে বা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া কিন্তু সে কখনই এই সত্যটির মুখোমুখি হতে পারে না যে, তাঁর প্রেমের গল্পে কখনও প্রেম ছিল না, অন্য ব্যক্তির জন্য তার ভালবাসা এবং দুর্বলতা ছিল শোষণের একটি সহজ লক্ষ্যমাত্র। তার বাস্তবতা অন্য ব্যক্তির মত ছিল না যে শুধুমাত্র তাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ব্যবহার এবং অপব্যবহার করার জন্য একসঙ্গে ছিল।
এটাকে ‘খুন’ বলে উল্লেখ করে কঙ্গনা লেখেন, ‘এমন অবস্থায় সে নিজের উপলব্ধিকে বিশ্বাস করতে পারে না। তাঁর কাছে বেঁচে থাকা বা মরে যাওয়া একই হয়ে যায়। আর জেনে রাখুন এই অবস্থায় সে যদি নিজের জীবন শেষ করে তবে এটা খুন।
পরের পোস্টে কঙ্গনা লেখেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিকে অনুরোধ করছি, যেমন কৃষ্ণ দ্রৌপদীর জন্য সোচ্চার হয়েছিলেন, যেমন রাম অবস্থান নিয়েছিলেন সীতার পক্ষে, আমরা আশা করি আপনি সম্মতি ছাড়া বহুবিবাহের বিরুদ্ধে ও অ্যাসিড অ্যাটাকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করবেন। মহিলাদের বিরুদ্ধে এসব করে যারা তাদের অনেক টুকরো টুকরো করা উচিত। বিচার ছাড়াই অবিলম্বে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক।’
আপাতত তুনিশার প্রাক্তন প্রেমিক শিজান খান রয়েছেন পুলিশি হেফাজতে। আদালতে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তাঁরা শিজানের ‘গোপন প্রেমিকা’র খোঁজ পেয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শিজান আর সেই মেয়েটির চ্যাট মুছে ফেলা হলেও তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। এবং সেই রহস্যময়ীরও বয়ান নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার নীরা রোডের শ্মশানে সম্পন্ন হয় তুনিশার শেষকৃত্য। যেখানে মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখে জ্ঞান হারান মা। আপাতত শিজানের দিকেই উঠছে অভিযোগের আঙুল। তুনিশার বান্ধবীও দাবি করেছেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্কে জড়িয়েছিল এই অভিনেতা। আর এটা শিজান অনেক মেয়ের সঙ্গেই করে থাকেন যৌন লালসা মেটাতে। শুধু সেক্সের জন্য সম্পর্ক রাখেন।