ফরিদপুরে ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে তাদের চাকুর আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ সেই চক্রের তিন সদস্যকে দুটি পিস্তল, চারটি গুলি, চাপাতি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমার মোড়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতাররা হলেন: ফরিদপুরের সালথার মাঝারদিয়া এলাকার শামীম আহম্মেদ (২৪), সদরপুর ভাষানচরের ঠ্যাংগামারী গ্রামের পান্নু শেখ (৩৮) ও একই ইউনিয়নের সুমন শেখ (৩০)।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা।
বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৪ জানুয়ারি সকাল ৬টার দিকে ফরিদপুর শহরের কুঠিবাড়ি কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা মো. ফজলুল করিম (৪৮) ঢাকা যাওয়ার জন্য রিক্সায় করে বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। রিক্সাটি ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে এলে হঠাৎ পেছন থেকে একটি নম্বরপ্লেট বিহীন পুরাতন মোটরসাইকেলে করে ৩ জন রিক্সার সামনে এসে গতিরোধ করে। পরে তারা ছ্যানদা দিয়ে কোপ দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ফজলুল করিমের কাছ থেকে দুটি আইফোন, একটি অ্যাপেল স্মার্ট ঘড়ি এবং একটি চামড়ার মানিব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে গত ২৭ জানুয়ারি ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ফজলুল করিম বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত করতে গিয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত শামীম আহম্মেদকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন। পরে পুলিশ ছিনতাইকারীদের ধরতে গেলে তারা পুলিশকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান বলেন, ছিনতাইকারীরা আমিসহ আরেক পুলিশ সদস্যকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তবে তারপরও তারা পালাতে পারেনি। আমরা তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেফতারদের নামে ছিনতাই, অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ