০২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:২১:২৮ পূর্বাহ্ন


ফখরুল-আব্বাসের ডিভিশন, কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১২-২০২২
ফখরুল-আব্বাসের ডিভিশন, কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট ফাইল ফটো


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ডিভিশন দিতে দেরি হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতে তাদের পক্ষে কারাগারে ডিভিশন সুবিধা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করেন। পরে শুনানিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

হাইকোর্ট বলেন, তাদের কারাগারে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেয়া উচিত ছিল। ডিভিশন দিতে ৩ দিন দেরি করা ঠিক হয়নি। ভবিষ্যতে কারা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) কারাগারে ডিভিশন চেয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। মির্জা ফখরুলের পক্ষে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস রিটটি দায়ের করেন।

এ বিষয়টি শুনানির জন্য উঠলে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানান, মঙ্গলবার থেকে তাদের প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেয়া হচ্ছে।

পরে ডিভিশন দেয়ার বিষয়টি লিখিত আকারে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দাখিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।

এ দিন আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওই সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

এ ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।