০২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:২৩:২৬ পূর্বাহ্ন


স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ব্যয়েও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি লাগবে
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২২
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ব্যয়েও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি লাগবে ফাইল ফটো


শতভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো স্বায়ত্তশাসিত, লেজিসলেটিভ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যয়ের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সম্মতি নেওয়ার বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া সরকারি কর্মচারী আইনে একটা জিনিস পরিষ্কার ছিল না। আইনে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অর্থনৈতিক বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু স্বায়ত্তশাসিত, লেজিসলেটিভ বডি যেগুলো, যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এদের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পরিষ্কার ছিল না। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি উত্থাপন করেছিল। তারা বলেছিল, তাদেরও বেশিরভাগ ব্যয় সরকারি তহবিল থেকে হয়। সুতরাং তাদের বিষয়েও অর্থ বিভাগের একটা অথরিটি থাকতে হবে। রাজশাহী নিউজ

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংবিধানের ৮৪, ৮৫ ও ৮৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রের যতো ব্যয় আসবে সব একটা অ্যাকাউন্টে আসবে, একটা অ্যাকাউন্ট থেকেই খরচ করা হবে। যেটাকে আমরা ট্রেজারি বলি। এ ট্রেজারির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো অর্থ বিভাগ। সুতরাং খরচের ক্ষেত্রে যেন অর্থ বিভাগের এখতিয়ার থাকে। যদি কোনো করপোরেশন বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো বেতন-কাঠামো ঠিক করে নেয়, তাহলে তো হবে না। সেজন্য যেকোনো অর্থনৈতিক বিষয় হলে অর্থ বিভাগের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে নিতে হবে। এজন্যই আইনটির মধ্যে এই ছোট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী আইন হওয়ার আগেও এ বিধান ছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগেও এটা বাধ্যতামূলক ছিল, এখন আইনগত একটা ভিত্তি দেওয়া হলো।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকারের রাজস্ব খাতভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো স্বায়ত্তশাসিত ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিতদের ক্ষেত্রেও আইনটি প্রযোজ্য হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্পর্কিত তথ্যাদি অর্থ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার প্রস্তাব সংযোজন করা হয়েছে সংশোধনীটিতে। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, এমনকি এসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আসা দেশি-বিদেশি অনুদান এবং এসব অনুদানে গৃহীত প্রকল্পের আয়-ব্যয়ের হিসাবও দিতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। সরকারের সব রকমের আয়-ব্যয় সমন্বয় করার জন্যই এই সংশোধনী। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব বেতন কাঠামোসহ সংশ্লিষ্ট আর্থিক বিষয়গুলোও অর্থ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।