যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া এক নারীকর্মী ওয়ালমার্টের কাছে ৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছেন। চেসাপিক শহরে ওয়ালমার্টের একটি স্টোরে গত ২২ নভেম্বর ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করে ওই স্টোরের শিফট ম্যানেজার আন্দ্রে বিং। ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া দোনা প্রিলু নামে ওই নারী মঙ্গলবার ৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে মামলা করেছেন।
দোনা প্রিলুর অভিযোগ, স্টোর ম্যানেজার আন্দ্রে বিং গুলি চালানোর কয়েকদিন আগে থেকেই অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করছিলেন। তার সেসব আচরণ উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ জানলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। হামলার পর দোনা প্রিলু ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। চোখের সামনে এমন ভয়ানক ঘটনা দেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে তিনি ভেঙে পড়েছেন। অভিযোগের সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে ম্যানেজার আন্দ্রে বিংয়ের অসঙ্গতিপূর্ণ ও সন্দেহজনক আচরণের একটি তালিকাও দিয়েছেন তিনি। আর সেসব তিনি হামলার আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন।
দোনা প্রিলু দাবি করেছেন, তার অভিযোগ সত্ত্বেও অন্য ম্যানেজাররা হামলাকারী বিংয়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। অভিযোগে বলা হয়েছে, দোনা প্রিলুর বাঁ পাশের কান ঘেষে গুলি গেছে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি। তবে নিজের অন্য সহকর্মীদের করুণ পরিণতি বরণ করতে দেখেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, গুলি চালানোর কয়েকদিন আগে বিং একাধিকবার তার সহকর্মীদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, যদি বন্দুক হামলা হয়, সেখান থেকে বাঁচার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কি না। সহকর্মীরা যখন জানাতেন যে, তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বিং তখন কিছু না বলেই চলে যেতেন।
অভিযোগ বলা হয়েছে, চাকরিচ্যুত করা হলে কিংবা কোনো ধরনের শাস্তি দেওয়া হলে ‘হিংস্র’ হওয়ার হুমকি দিতেন বিং। বিংকে শাস্তি দেওয়ার পর তিনি যে বড় অঘটন ঘটাতে পারেন, তা নিয় সংশয় ছিল। তার পরেও ওয়ালমার্ট এ ব্যাপারে সতর্ক হয়নি। বরং অন্য ম্যানেজাররা তাকে পছন্দ করতেন। ঘটনার পর বিংয়ের লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, সহকর্মীরা তার খারাপ সময়ে বিদ্রুপ, হাসি-তামাশা করত। এ নিয়ে তাদের ওপরক্ষুব্ধ তিনি। কয়েকজনের নামও উল্লেখ করেছেন বিং। এছাড়া সেই চিরকুটে একজনকে ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন বিং।