২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৪০:৩১ পূর্বাহ্ন


দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করছে চীন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১২-২০২২
দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করছে চীন চীনে বিক্ষোভকারীরা।


লকডাউনের অবসান এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভের পরে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলকরণের ইঙ্গিত দিয়েছে চীনা কতৃপক্ষ।

চলতি সপ্তাহে চীন সরকারের শূন্য-কোভিড নীতি- যার মধ্যে গণ লকডাউন, গণ কোভিড পরীক্ষা এবং এমনকি যারা সংক্রামিত নয় তাদের জন্য পৃথকীকরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজধানী বেইজিং, সাংহাই এবং গুয়াংজুসহ প্রধান শহরগুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যার মধ্যে কয়েকটি স্থানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এই পরিস্থিতি চীনা কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিলেন কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলকরণের কাজ চলছে।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বুধবার চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের এক বৈঠকে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী সান চুনলান বলেন, করোনা ভাইরাসের রোগ সৃষ্টি করার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ছে। ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং টিকা দেয়ার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই যেসব এলাকায় কম ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে বুধবার চীনের দক্ষিণাঞ্চলের মেগাসিটি গুয়াংজুর হাইজু জেলা সহ শহরের ১১টি জেলায় বিভিন্ন মাত্রায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে, যেখানে মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভ এবং পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।

গুয়াংজুর একটি জেলা কতৃপক্ষ বলেছে, সেখানে স্কুলে ক্লাস পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং রেস্তোঁরা এবং সিনেমা সহ অন্যান্য ব্যবসাও আবার খুলবে। এছাড়াও দেশটির কেন্দ্রীয় শহর চংকিং-এ বুধবার বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর উরুমচিতে হাইরাইজ ব্লকে গত বৃহস্পতিবার আগুন লাগে। এতে মারা যান ১০ জন। এরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ আরো জোরালো হয়ে ওঠে। সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোভিডের কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞার কারণে জলন্ত ভবন থেকে মানুষজন বের হতে পারেননি। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ নাকচ করেছে।