২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০১:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন


ফিলিপাইনে মহামারিতে রূপ নিয়েছে শিশু যৌন নির্যাতন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১১-২০২২
ফিলিপাইনে মহামারিতে রূপ নিয়েছে শিশু যৌন নির্যাতন ফাইল ফটো


পুতুল খেলার বয়সে পর্নোগ্রাফিতে জড়িয়ে যাচ্ছে ফিলিপাইনের শিশুরা। এমনই এক ঘটনার শিকার ৭ বছর বয়সী শিশু এরিক। যখন এরিকের প্রতিবেশী ও এলাকার মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে এবং পশ্চিমা বিশ্বের বেশিরভাগ অংশ জেগে ওঠে তখন এরিকের মা তাকে ও তার ভাইবোনকে এ জঘন্য কাজ করতে বাধ্য করে। বছরের পর বছর তাদের সারা বিশ্বে পেডোফাইলদের জন্য লাইভ সেক্স শো করতে বাধ্য করা হয়।

এরিক ক্যামেরায় ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হন। এতে তার মা, বাবা, খালা এবং চাচাও অংশ নেন। এরিকের বাবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিবাদের জেরে তার স্ত্রী ও পরিবারের বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন। তদন্তকারীরা যুক্তরাজ্য এবং সুইজারল্যান্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে এরিকের পরিবারে অর্থপ্রদানের সন্ধান পান।

এরপর দাতব্য সংস্থা প্রেডা এরিক তার ভাইবোনকে আশ্রয় দেন। প্রেডা যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের নিয়ে কাজ করে। 

সমাজকর্মী ফেডালিন মেরি বাল্ডো কয়েক মাস ধরে এরিক ও তার ভাইবোনের সঙ্গে আছেন। ১৭ বছর ধরে মিসেস বাল্ডো শিশুদের সহায়তায় কাজ করছেন। সেসময় শিশু যৌন নির্যাতনের ছবি এবং ভিডিও ফিলিপাইনে বিলিয়ন ডলার শিল্পে পরিণত হয়েছিল। এখন দেশটি এই ধরনের শোষণের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম  উৎস হিসেবে পরিচিত। 

দারিদ্র্য, উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ইংরেজিতে নির্দেশাবলী গ্রহণ করার ক্ষমতা এই শোষণকে অব্যাহত রেখেছে।

ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় পাঁচ ফিলিপিনো শিশুর মধ্যে একজন যৌন শোষণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই সংখ্যা প্রায় দুই মিলিয়নের কাছাকাছি।

মিসেস বাল্ডো আশঙ্কা করছেন যে ফিলিপাইনে শোষণ ‘স্বাভাবিক’ হয়ে উঠছে। দেশের দরিদ্রতম এলাকায় এই শোষণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে। 

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোস শিশু যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে দমন যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তবে এই পর্নো ইন্ডাস্ট্রি আরও বড় হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে ফিলিপাইনের জেতার কোন আভাস নেই।