মধ্য কিয়েভে রাশিয়ার শক্তিশালী কামিকাজে ড্রোনে বিস্ফোরণে উড়ে গেল ঘরবাড়ি। অনেক আহত, নিহত ৮। রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মানুষের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ। ইউক্রেনে আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হবে না বলে কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পরে ফের এমন বিধ্বংসী হামলার নিন্দা করেছে গোটা বিশ্ব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আগেই সাইরেন শোনা গিয়েছিল। লোকজন প্রাণভয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তার পরেই দেখা যায় কয়েকটি বাড়ির ওপরে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা পড়ল। প্রচণ্ড বিস্ফোরণের পরে গাঢ় কমলা রঙের ধোঁয়া বের হতে শুরু করলো। দাউদাউ করে জ্বলে উঠল আগুন। সেই সঙ্গে মানুষজনের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠল আকাশ।
মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো জানিয়েছেন, ইউক্রেনের মধ্য শেভচেনকিভস্কি জেলায় এই ড্রোন আছড়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি বসত বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আগুন ছড়িয়েছে আশপাশের এলাকায়। ৮ জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্লিৎসকো জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে।
গত এক মাসে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের দখল নিয়েছে রাশিয়া ৷ এই আগ্রাসী মনোভাবের নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘ৷ এর আগে রাশিয়া-ক্রাইমিয়া সংযোগকারী সেতুতে ট্রাক বিস্ফোরণ ঘটে। তার পর থেকেই ইউক্রেন জুড়ে রুশ হামলা বেড়েছে। খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ বলেছেন, একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েই যাচ্ছে রাশিয়া। ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে শিশুরাও। ভেঙে পড়ছে বাড়িঘর, সুপ্রাচীন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলি। প্রায় আট মাস ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালানো সত্ত্বেও নিশানায় থাকা সব অঞ্চল এখনও কব্জা করে উঠতে পারেনি রাশিয়া। উল্টা ইউক্রেন বাহিনীর প্রতি আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে রুশ সেনারা। পুতিন প্রশাসনের কাছে যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন আপাতত ইউক্রেনে প্রাণঘাতী হামলা হবে না। কিন্তু তার পরেও কিয়েভে ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া।