মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্বের জনসংখ্যা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছাবে। মঙ্গলবার বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে দাবী করেছে জাতিসংঘের প্রতিবেদন। ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে জনসংখ্যার এই সংখ্যা ৮৫০ কোটি, ২০৫০ পর্যন্ত ৯৭০ কোটি এবং ২১০০-পর্যন্ত ১০৪০ কোটিতে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে মানুষের গড় বয়স সম্পর্কে দাবী করা হয়েছে যে, বর্তমানে তা ৭২ দশমিক ৮ বছর হয়েছে, যা ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০১৯ সাল পর্যন্ত নয় বছর বেড়েছে।
একই সঙ্গে প্রতিবেদনে ২০৫০ সাল নাগাদ একজন মানুষের গড় বয়স ৭৭.২ বছর হওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা গড়ে ৫.৪ বছর বেশি বাঁচেন। মহিলাদের গড় বয়স অনুমান করা হয়েছে ৭৩.৪ বছর এবং পুরুষদের গড় বয়স ৬৮.৪ বছর।
জাতিসংঘ কর্তৃক প্রকাশিত এই বার্ষিক বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, বিশ্ব জনসংখ্যা ১৯৫০ সালের পর থেকে সবচেয়ে ধীর গতিতে বাড়ছে, যা ২০২০ সালে এক শতাংশেরও কম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব জনসংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি হতে ১২ বছর লেগেছে, যেখানে ২০৩৭ সালের মধ্যে তা ৯০০ কোটিতে পৌঁছাবে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে, চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হবে ভারত। প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে, চীনকে পেছনে ফেলে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারত হবে সবচেয়ে জনবহুল দেশ। একই সঙ্গে প্রতিবেদনে ২০৮০ সালের দিকে বিশ্বের জনসংখ্যা ১০৪০ কোটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হয়েছে।
বার্ষিক ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্ট রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে, আগামী ২৭ বছরে বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা ৮টি দেশে বসবাস করবে। অর্থাত্ এই আটটি দেশের জনসংখ্যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন এবং তানজানিয়ায় বিশ্বের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ হবে। এর মানে এই আটটি দেশ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বের অধিকারী হতে চলেছে।
প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সংখ্যক নাগরিক দেশ ছেড়ে অন্য দেশে বাড়ি করেছেন। প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১.৬৫ কোটি পাকিস্তানি তাদের দেশ ছেড়ে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছে। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত, যেখানে ৩৫ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে বসতি স্থাপন করেছে। এরপর বাংলাদেশ থেকে ২৯ লাখ, নেপালের ১৬ লাখ এবং শ্রীলঙ্কা থেকে ১০ লাখ নাগরিক দেশ ছেড়ে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন।