বাড়ি, যা কিনা মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই। তবে শুধুই কি তাই? সারাদিনের কাজ পর অপার শান্তি মেলে সেই আশ্রয়স্থলে। সেই কারণেই শহুরে কোলাহলের বাইরে নিরিবিলিতে, প্রকৃতির কাছাকাছি বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট কিনতে চান অনেকেই। কিন্তু ধরুন যদি মেট্রো শহরগুলির তিন কিংবা চার কামরার ফ্ল্যাটের দামেই পেয়ে যান আস্ত একখানা গ্রাম, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক বাড়ি, স্কুল, হোটেল, উপাসনাস্থল! তাও কিনা দেশের বাইরে!
অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই সত্যি। পর্তুগাল সীমান্তের কাছে স্পেনের ছোট্ট গ্রাম সাল্টো দে কাস্ত্রো। জামুরা প্রদেশের এই গ্রামটি গত ৩০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জনমানুষের বাস নেই সেখানে। মানুষ না থাকলেও গ্রামটিতে রয়েছে ৪৪টি বাড়ি, একটি গির্জা, একটি সুইমিং পুল, একটি হোটেল এবং একটি স্কুল। এছাড়া নিরাপদ সড়কদের বসবাসের জন্য একটি ছাউনিও রয়েছে।
গ্রামটির বর্তমান মালিক যিনি, বয়সের ভারে তিনি জরাজীর্ণ। ২২ বছর আগে গ্রামটি কিনেছিলেন তিনি। গ্রামটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার অভিপ্রায় ছিল তাঁর। কিন্তু ২০০৮-০৯ সালে সমগ্র ইউরোপ জোড়ে শুরু হয় আর্থিক মন্দা। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সমস্ত পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হন তিনি। এই মুহূর্তে গ্রামের রক্ষণাবেক্ষণ আর সম্ভব হচ্ছে না তাঁর পক্ষে। তাই গ্রামটি ফের বিক্রি করে দেওয়ার জন্য একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তিনি।
গ্রামটির দাম ধার্য করা হয়েছে ২ লক্ষ ২৭ হাজার ইউরো, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দু’কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই নাকি অনেকেই গ্রামটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এমনকী, এক ক্রেতা নাকি অগ্রিম টাকা দিয়ে ইতিমধ্যেই গ্রামটি কেনার জন্য বুকিংও সেরে রেখেছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন মানুষের পায়ের চিহ্ন না পড়ার কারণে বর্তমানে বাসযোগ্য নেই গ্রামটি। তাই কেনার পর সাল্টো দে কাস্ত্রোকে ফের বসবাসের উপযোগী করে তুলতে খরচ হবে অনেকটাই টাকা, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৬ কোটি ৬৮ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৬৫ টাকা।