পারিবারিক অনুষ্ঠানে একজোট হয়েছিলেন সবাই। সেখানেই আলাপ সৎ ভাই-বোনের। তার পর প্রেম এবং বিয়ে। মধুচন্দ্রিমার ছবি এবং ভিডিয়ো ফলাও করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সমালোচিত হলেন ওই নবদম্পতি। শুভেচ্ছা, আশীর্বাদের বদলে কেউ ওই দম্পতিকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে সমালোচনা করলেন। কেউ বললেন, দম্পতিকে ধরে জেলে দেওয়া উচিত। তাঁদের জন্যই নাকি অসুস্থ হচ্ছে সমাজ। তবে পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। তাঁরা অবশ্য বলছেন, ওঁরা তো সে অর্থে ভাই-বোন নন। তাই বিয়ে করতেই পারেন। সব মিলিয়ে সমাজমাধ্যমে আলোচিত এই দম্পতি।পাত্র সামুলি এরিকসন।
পাত্রীর নাম মাটিল্ডা এরিকসন। বাড়ি ফিনল্যান্ডের এস্পোয়। দিন কয়েক আগে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিজেদের একটি ভিডিয়ো টিকটকে পোস্ট করেন তাঁরা। তার পরেই শুরু হয় জোর সমালোচনা। যদিও নবদম্পতি তাঁদের অবস্থানে অনড়। তাঁরা বলছেন, সত্যিকারের ভালবাসা এমনই হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে মাটিল্ডার মায়ের ৫০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন তাঁর সৎ ভাই সামুলি। তাঁরা মায়ের দু'টি পৃথক বিবাহের সন্তান। প্রথম বার পরিচয়ের পর একে অপরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ অনুভব করেন তাঁরা। প্রথমে শুধুই ভাল বন্ধু ছিলেন। কিন্তু সময় যেতে একে অপরের প্রেমে পড়েন। অবশেষে গত অক্টোবর মাসে বিয়ে করেন দু’জনে। দম্পতির দাবি, তাঁদের বিয়েতে বাড়ির সবাই খুশি। কিন্তু প্রতিবেশী এবং পরিচিতরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কেউ কেউ তাঁদের ‘অসুস্থ’ বলে কটাক্ষও করছেন।
তবে মাটিল্ডা এবং সামুলি এ সবে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না। তাঁদের নিয়ে সমাজমাধ্যমে জোর আলোচনা হচ্ছে। তবে দম্পতি জানাচ্ছেন, নিজেদের ভাল মুহূর্তের ছবি ইচ্ছে হলেই নেটমাধ্যমে ভাগ করবেন। কে কী বলল, তাতে কী বা আসে যায়! মাটিল্ডার কথায়, ‘‘আমার মা নিজেই বলেছেন, মন যা চেয়েছে তাই করো।’’ আর সামুলি বলছেন, ‘‘আমাদের দুই পরিবারের লোকজনই হয়তো চাইতেন, আমরা একে অন্যের সঙ্গে এ ভাবেই থাকি। তাই রয়েছি।’’ ওই দম্পতি জানান, তাঁরা বিয়ের আগে চিকিৎসক এবং আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা অভয় দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আইনি জট পাকবে না বলে আশ্বাস পেয়েছেন আইনজীবীর কাছে। আর চিকিৎসক জানিয়েছেন, সন্তান নিলে তেমন কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।