বাংলাদেশে যে কজন শিল্পীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক এবং যোগাযোগ ছিল লতা মঙ্গেশকরের তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। লতা মঙ্গেশকরকে যিনি গানের সরস্বতী হিসেবেই মানেন। লতার সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয় বোম্বে গিয়ে।
কাছের মানুষের প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন এই শিল্পী সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, কী বলব আর! বলার মতো ভাষা নেই। সকাল থেকেই মনটা খারাপ। জানি, পৃথিবীর নিয়মে সবই চলবে। তিনি (লতা মঙ্গেশকর) চলে গেলেন। লতা মঙ্গেশকর ছাড়া একটা পৃথিবী তো ভাবাই যায় না! আমি ভাগ্যবান যে লতাজির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, কথা হয়েছিল। সেই মুহূর্তগুলো আজও আমার মনে ভর করে। তিনি যত বড় শিল্পী ছিলেন, মানুষ হিসেবে ছিলেন ততই বিনয়ী।
দিদির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। আমরা একটা ফেস্টিভালে বোম্বে গিয়েছিলাম। আমার সৌভাগ্য যে, ওনার সামনে গাইতে পেরেছিলাম। সেই সফরে আমি, ববিতা, রাজ্জাক, রোজী সিদ্দিকী ছিলাম। সেখানে ছিলেন শচীন দেববর্মন। তিনি বারবার বলছিলেন, ‘অনেক দিন বাংলা গান শুনি না। কতদিন বাংলা গান শুনি না। তুই একটা গান গা।’ তখন আমি ‘পাল ?তুলে দে’ গানটি গাইলাম। উনি কাঁদলেন। আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। তখন দেখি হঠাৎ লতাজি আসছেন। আমি হারমোনিয়াম ছেড়ে অন্যদিকে পালিয়ে গেলাম। কিন্তু আমাকে আবার ডাকা হলো। বলা হলো, গান গাইতেই হবে। ‘জন্ম আমার ধন্য হলো’ গাইলাম। লতাজি এত প্রশংসা করলেন! আমি বললাম, ছোটবেলায় আপনার গান শুনে বড় হয়েছি। সত্যি বলতে, এখনো প্রতিদিন ওনার গান শুনি।
রাজশাহীর সময় /এইচ