নাটোরের সিংড়া উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত ও চার জন আহত হয়েছেন। আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান। ওই এলাকা এখন থমথমে বিরাজ করছে।
নিহত আফতাব উদ্দিন সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন।
আহতরা হলেন আফতাবের ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম এবং প্রতিপক্ষ কুদ্দুস-ফরিদ গ্রুপের অনুসারী মাসুদ, রুহুল ও মুসা।
প্রতিপক্ষ কুদ্দুস ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং দুই বারের বিএনপি সমর্থিত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী। কুদ্দুসের ভাই ফরিদ ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আফতাব গ্রুপের সঙ্গে কুদ্দুস-ফরিদ গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার রাত ৮টার দিকে আফতাবের নেতৃত্বে বামিহাল এলাকায় কুদ্দুস গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়।
এতে কুদ্দুস গ্রুপের তিন জন আহত হন। কিছুক্ষণ পর কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বামিহাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আফতাব গ্রুপের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় তারা আফতাব ও কালামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আফতাবকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চার জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় ২০-২৫ জন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। একপর্যায়ে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্কে লোকজন বাড়িতে চলে যান।
সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, আহত চার জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল।
সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। একজন নিহত ও চার জন আহত হয়েছেন। তবে সংঘর্ষের সময় গোলাগুলির কথা শুনিনি।