রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশিদকে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সহিংস ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৪ মে) দুপুরে রুয়েট ক্যাম্পাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মামুন। তিনি রুয়েটের নিরাপত্তা শাখায় দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করে করছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আলুপট্টি মোড়ের স্বচ্ছ টাওয়ারের সামনে ছাত্রজনতার ওপর হামলার সঙ্গে রুয়েট প্রশাসনের অনেক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার ভিত্তিতে বোয়ালিয়া থানায় দায়ের করা মামলায় মামুন-অর-রশিদকে অভিযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় দুপুরে রুয়েট ক্যাম্পাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামুন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার চাকরি পাওয়ার পেছনে সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠভাজন হওয়ার প্রভাব ফেলেছে।
মামুনকে গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামীপন্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রশাসন কোনো ধরনের অনৈতিকতা বা সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেবে না। বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এখানে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘মামুন-অর-রশিদ এজহারভুক্ত আসামি। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মতিহার থানা পুলিশ তাকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
