১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১০:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন


রেজিস্ট্রারের বাসায় ককটেল হামলার বিচারসহ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ রাবি শাখা ছাত্রদলের
রাবি প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৫-২০২৫
রেজিস্ট্রারের বাসায় ককটেল হামলার বিচারসহ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ রাবি শাখা ছাত্রদলের রেজিস্ট্রারের বাসায় ককটেল হামলার বিচারসহ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ রাবি শাখা ছাত্রদলের


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রারের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারসহ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। 

রবিবার (৪ মে)  দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বহিরাগত লোকজনকে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেকে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে নিজেরা কেন বিক্ষোভে এসেছেন, সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।  

ছাত্রদলের অন্য দাবিগুলো হলো আবাসিক হলসমূহে পবিত্র আল-কোরআন পোড়ানো ও একাডেমিক ভবনে পূজার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় তদন্ত করে জড়িতদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করতে হবে, ছাত্রশিবির সহিংস আন্দোলনের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের চিহ্নিত হামলাকারী ও জুলাই আন্দোলনে গণহত্যায় মদদদাতা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরসংলগ্ন ছাত্রদলের দলীয় টেন্টে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবনের ফটক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় তারা ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস, ছাত্রদলের অঙ্গীকার’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘শিক্ষা- সন্ত্রাস, একসাথে চলে না’, ‘হই-হই, রই-রই, ছাত্রলীগ গেলি কই’, ‘হই-হই, রই-রই গুপ্ত শিবির গেলি কই’, ‘আয় গুপ্ত দেখে যা রাজপথে তোর বাপেরা’, ‘বোমাবাজের রাজনীতি, চলবে না চলবে না’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। 

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘একজন ভিসির বাসভবন তালা মেরে যে সহিংস রাজনীতি করার ঘোষণা দিয়েছে, তা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখনো আতঙ্কিত হয়ে আছেন। অতীতে যেভাবে নেতাকর্মীদের রগ কেটে ও বোমার রাজনীতি করা হয়েছে, সেই রাজনীতির পুনরাবৃত্তি আমরা অনুধাবন করছি। সেই বর্বর রাজনীতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা হতে দেব না।

দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন দাবি উল্লেখ করে সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্দিষ্ট একটা ধর্ম ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেই চলেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআন পোড়ানো ও শিক্ষকের বাসায় হামলা একই সূত্রে গাথা। তাদের ইন্ধনেই এমন ঘৃণ্য কাজ হয়েছে। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদেরকে প্রকাশ্যে আনুক। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার করতে হবে নতুবা আমরা ধরে নেব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখানে সরাসরি জড়িত।

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিঠু, সরদার জহুরুল হক, এম এ তাহের রহমান, শাকিলুর রহমান সোহাগ, আহ্বায়ক সদস্য নাফিউল ইসলাম, নুরুদ্দিন আবির প্রমুখ।