উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের অপসারণের দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কার্যকারী সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক সই করা এক বিবৃতিতে তাদের দুজন এপিএসের দুর্নীতির কারণে অপসারণের পর এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবি'কে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উভয়ের বিরুদ্ধেই তদবির বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এ দুই দুর্নীতিবাজ'কে অব্যাহতি প্রদান করায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমরা 'ফোরাম'-এর পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য মতে মোয়াজ্জেম হোসেন তদবির বাণিজ্য করে চার শত কোটি টাকা অর্জন করেছে। একই অভিযোগ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে। কিন্তু ডা. মাহমুদুল হাসানকে এখনও অপসারণ করা হয়নি। তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ঘুরে ঘুরে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার ইত্যাদির তদবির করেছে বলে সংবাদে প্রকাশ। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী/কর্মকর্তারা তাদের ভয় তটস্থ থাকতো ও তাদের নির্দেশ মত অবৈধ তদবির বাস্তবায়ন করতো। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে তারা কি কারো অদৃশ্য ইঙ্গিতে বা আশ্রয়-প্রশ্রয় ব্যতীত এমন সব সন্ত্রাস- দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছিল? মোটেই না। সঙ্গত কারণেই তাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার প্রতিই আঙ্গুল উঠে। জনমনের এ সব প্রশ্নের সদুত্তর প্রদানের জন্য নিজেদের অক্ষমতা এবং নৈতিক কারণেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। "বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম" অবিলম্বে এই দুইজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি অথবা তাঁদের অপসারণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবির গত ৮/৯ মাসের দুর্নীতি- অনৈতিক কর্মকান্ড, তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী-অদৃশ্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন পূর্বক বিচারের আওতায় এনে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।