১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৬:২০:০৯ পূর্বাহ্ন


নওগাঁয় খাল দখলের অভিযোগে উত্তেজনা, সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৪-২০২৫
নওগাঁয় খাল দখলের অভিযোগে উত্তেজনা, সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ নওগাঁয় খাল দখলের অভিযোগে উত্তেজনা, সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ


 নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউনিয়নের বনগ্রাম গুচ্ছগ্রামে খাল দখল করে জোরপূর্বক মাছ ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক সদস্য ও স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এতে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার ভূমিহীন বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গুচ্ছগ্রামে ২৭০টি ঘরে ১৬০টি পরিবারের বসবাস। খালটি দীর্ঘদিন ধরে হাঁস পালন, গবাদিপশুর পানি পান ও মাছ চাষের জন্য ব্যবহার করে আসছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি সমিতির উদ্যোগে প্রায় ৫ হাজার টাকা ব্যয়ে কচুরিপানা অপসারণসহ খাল পরিষ্কার করা হয়। এরপরই কোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও বিএনপির ওয়ার্ড সহসভাপতি ফারুক হোসেন হঠাৎ খালে মাছ ছেড়ে দেন। তিনি খালটিকে নিজের দাবি করে তা দখলে নেন বলে অভিযোগ।

গুচ্ছগ্রাম সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন, ‘গরিব মানুষের টাকা দিয়ে খাল পরিষ্কার করা হয়েছে। আমরা সবাই মিলে মাছ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু ফারুক মেম্বার জোর করে মাছ ছেড়ে দেন।’

সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেনের অভিযোগ, ‘ফারুক মেম্বারের খালের পাশে ২ শতাংশ জমি থাকলেও তা দিয়ে পুরো খাল দখল করার কোনো অধিকার নেই।’

স্থানীয় বাসিন্দা বিলকিস বানু বলেন, ‘আমরা বছর বছর এই খালেই মাছ চাষ করি। গরিব মানুষ একটু হাঁস-পাখি পালন করি। এখন উনি এসে বলছেন, এটা তাঁর খাল!’

অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের মধ্যে আমার ও হাসান চৌধুরীর ৪১ শতাংশ জমি আছে। খালটি আমার জমির অংশের মধ্যেই পড়ে, তাই মাছ ছেড়েছি।’

বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামটি মূলত সরকারি খাসজমিতে গড়ে উঠেছে। কাগজপত্র যাচাই না করে কিছু বলা যাচ্ছে না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খালটি ফিরে পেতে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।