১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:০৭:১০ অপরাহ্ন


রমজানের শেষ দিকে যে ৪ কাজ বেশি করবেন
ধর্ম ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৩-২০২৫
রমজানের শেষ দিকে যে ৪ কাজ বেশি করবেন প্রতিকী ছবি


‎রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ এক সময়। এই মাসে প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ ও রহমত প্রার্থনা করা হয়। রমজানে শেষ দিকে বিশেষ কিছু কাজ রয়েছে, যা করলে একজন মুসলমান আল্লাহর বিশেষ করুণা ও মাফ পেতে পারেন। চলুন, জানি রমজানের শেষদিকে কোন চারটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ বেশি বেশি করা উচিত।

‎১. কালিমায়ে তাওহিদ পড়া 

‎কালিমায়ে তাওহিদ হলো ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস। ‎‎"لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰه" লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ—এ কালিমা জাহান্নাম থেকে মুক্তি অর্জন করার অন্যতম উপায়। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় এই কালিমা চারবার করে পড়বে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। আর যদি কেউ একনিষ্ঠ বিশ্বাস ও ইখলাসের সাথে এই কালিমা পড়েন, তবে আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন। সুতরাং,  রমজানের শেষ দিকে এই কালিমা বেশি বেশি পড়ুন, যেন আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভ করতে পারেন।

‎২. ইস্তিগফার করা

‎‎"أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ رَبَّي مِن كُلِّ ذَنبٍ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ"

‎‎ইস্তিগফার বা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রসুল (সা.) বলেছেন,  

‎রমজান মাসে অস্বীকারকারী ছাড়া সবাইকে মাফ করে দেওয়া হয়।" এখানে ‘অস্বীকারকারী’ বলতে তাকে বুঝানো হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি তার গোনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে অনীহা প্রকাশ করে। তাই,  রমজানের শেষ সময়ে ইস্তিগফার করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে আমরা আল্লাহর মাগফিরাত ও দয়া লাভ করতে পারি।

‎৩. জান্নাত প্রার্থনা করা

‎রমজানের বিশেষ সময়গুলোতে রোজাদারের দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। বিশেষ করে যদি জান্নাতের জন্য দুআ করা হয়, তবে সেটি কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রাসূল (সা.) বলেছেন, রোজাদারের দুআ কখনো নাকচ করা হয় না। তাই, রমজানের ‎শেষ সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুআ হলো জান্নাত প্রার্থনা। সব সময় জান্নাতের জন্য দুআ করুন, বিশেষ করে রমজানের শেষ দিনগুলোতে, যাতে আল্লাহ আপনাকে জান্নাতে প্রবেশের সৌভাগ্য দান করেন। 

‎৪. জাহান্নাম থেকে পানাহ চাওয়া

‎اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَنَجِّنَا مِنَ النَّارِ ‎নবীজি (সা.) বলেছেন,  

আমি জান্নাত প্রার্থনা করি এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ চাই। (আবু দাউদ, ৭৯২)। এটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ শিক্ষা। আমাদের উচিত, আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করা এবং একই সাথে জাহান্নাম থেকে পানাহ চাওয়া। রমজানের শেষ সময়ে, বিশেষ করে লায়লাতুল কদরের রাত ও পরের রাতগুলোতে আমরা কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি, যেন তিনি আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেন এবং জান্নাতের পথ সুগম করেন।

‎রমজান মাস বিদায়ের ধার প্রান্তে, যার প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের সুযোগ রয়েছে।  অবশিষ্ট আছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। যারা রমজানের হক আদায় করতে পারেননি তারা অবশিষ্ট দিনগুলোও ভালোভাবে পালন করুন। আর যারা এতদিন ঠিকভাবে সাওম রাখেননি, তারা বাকী সাওম গুলো আদায়ের মাধ্যমে রমজান শেষ করুন। ব্যক্তির আমল ধর্তব্য হয় শেষ পরিণতি হিসেবে।

‎সুতরাং অবশিষ্ট রাত-দিনগুলোতে আমল করতে সচেষ্ট হোন। তাহলে মহান রাজাধিরাজের সামনে তাদেরকে আপনার পক্ষে সাক্ষী হিসেবে পাবেন। শেষ সময়ে রমাদানকে বিদায় দিন সর্বোত্তম পদ্ধতিতে।