মামলা করতে যাওয়া এক নারীর কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বগুড়া সদর থানার এসআই জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে সদর থানার ওসির হস্তক্ষেপে তিন হাজার টাকা ফেরত পান ওই নারী। একই সঙ্গে মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলার বাদী আফসানা জাহান বগুড়া শহরের হাড্ডিপট্টি এলাকার আরিফুল ইসলামের মেয়ে।
তিনি জানান, ১১ মার্চ সকালে শহরের হাড্ডিপট্টি এলাকায় মাদক বেচতে নিষেধ করায় তার মা শাহানা পারভিনকে মারধর করেন মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় মাকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেলেন ছোট বোন আরিফা। পরে স্থানীয় তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে মামলা করতে বগুড়া সদর থানায় যান আফসানা।
আফসানা বলেন, মামলার খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন থানার ডিউটি অফিসার এসআই জাহিদ। এত টাকা নেই বলার একপর্যায় হাতে থাকা তিন হাজার টাকা কেড়ে নেন তিনি। একই সঙ্গে আরও সাত হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন।
ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় বসে থেকে বাড়ি ফিরে যান আফসানা। মামলা রেকর্ড না হওয়ায় পরদিন দুপুরে বিষয়টি ওসিকে জানানো হয়। পরে ওসির হস্তক্ষেপে তিন হাজার টাকা ফেরত দেন এসআই জাহিদ।
এসআই জাহিদ হাসান বলেন, টাকার বিষয়টি বাদীর সঙ্গে মিটমাট হয়ে গেছে। মামলা লেখায় ভুলত্রুটি থাকায় গতকাল মামলা রেকর্ড হয়নি। আজ থানার কম্পিউটারে নতুন করে মামলা ড্রাফট করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, টাকা কেড়ে নেয়ার বিষয়টি জানা ছিল না। আজ বাদী জানানোর পর টাকা ফেরত পেয়েছে বলে শুনেছি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী আশিক, তার স্ত্রী শাপলাসহ ১০ জনের নামে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।