ইসলামীক ডেস্ক: আল্লাহর কাছে পরিশুদ্ধ জীবন পেতে তাওবাহ-ইসতেগফারের বিকল্প নেই। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণায় অহরহ গোনাহ করে বসে। চলার পথে মানুষ বুঝে না বুঝে, ইচ্ছা-অনিচ্ছায় অনেক জঘন্যতম অপরাধও করে বসে।
তাই সাধারণ কিংবা জঘন্যতম কোনো কারণে অপরাধ সংঘটিত হয়ে গেলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি।
হাদিসে পাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বান্দাকে দেরি না করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেছেন। আবার দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনার কারণও উল্লেখ করেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বাম পাশের ফেরেশতারা বান্দার গোনাহ লেখার আগে ৬ ঘণ্টা কলম তুলে রাখেন (অর্থাৎ গোনাহ লেখেন না)। এই সময়ে মধ্যে যদি সে তার গোনাহের কারণে লজ্জিত হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তাহলে ফেরেশতা তা না লিখে ছুড়ে ফেলে দেন। কিন্তু যদি সে এমনটা না করে তাহলে তার আমলনামায় একটি গোনাহ লেখা হয়।’ (আল-মুজামুল কাবির, সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সাহিহা)
হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, অন্যায় বা অপরাধ সংঘটিত হলে ক্ষমা প্রার্থনা বা তাওবাহ করতে দেরি করা আরেকটি মারাত্মক ভুল বা অন্যায়।
কারণ, অন্যায় বা অপরাধী ব্যক্তি নিজেও জানে না সে কখন মৃত্যু বরণ করবে। আবার এ গোনাহের জন্য পরে ক্ষমা প্রার্থনা বা তাওবাহ করার সুযোগ মিলবে কিনা তাও সে নিশ্চিত নয়। সে কারণে যখনই কোনো অপরাধ সংঘটিত হবে তখনই দেরি না করে তাওবাহ-ইসতেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা একান্ত জরুরি।
উল্লেখিত হাদিসে দেরি না করে ক্ষমা প্রার্থনার সে বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। রাসুলে আরাবির এ হাদিস উম্মতে হাম্মাদির জন্য অন্যতম নেয়ামত।
সুতরাং মানুষের উচিত একটা অন্যায় করে শয়তানকে খুশি করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা না চেয়ে দ্বিতীয় আরেকটি অন্যায় করে শয়তানকে দ্বিগুণ খুশি করা উচিত নয়।
তাই প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জান্য একান্ত আবশ্যক যে, গোনাহ করার পর পরই দেরি না করে আল্লাহর পথে ফিরে আসতে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে গোনাহমুক্ত জীবন গঠন করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। গোনাহ করার পর দেরি না করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময় / এফ কে