রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ৬ মাস কেটে গেছে। রাশিয়া শুরুতে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইউক্রেন দখল করতে শুরু করেছিল এখন সেই তেজ কমেছে। বরং পাল্টা আক্রমণ শানাচ্ছে ইউক্রেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইউক্রেনে আক্রমণ করে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে পুতিনের দেশ। সামরিক শক্তিতে অনেকটা পিছিয়ে থেকেও দেশকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে লড়ছে ইউক্রেন বাহিনী। বদলে এখন পুতিনের সেনাদের সামরিক অস্ত্র ও রসদে ভাটা পড়েছে।
রুশ সীমান্তের ভেলেইকি বারলুক দখল করে নিয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, রাশিয়ার দখল থেকে দেশের প্রায় ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। এখন দেশের উত্তর সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। রুশ দখল থেকে একের পর এক শহর ছিনিয়ে নেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন জেলেনস্কি।
রুশ সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে, পুতিনের নির্দেশে ডনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ মজবুত করতে ইউক্রেনের অন্য অঞ্চলগুলি থেকে সেনা সরিয়ে আনছে। কিন্তু আদতে জানা গেছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সামরিক ভাণ্ডারে টান পড়েছে। বহু প্রাণহানি হয়েছে। খাদ্যের অভাবও দেখা দিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বীর বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইউক্রেনের বাহিনী।
ইউক্রেনের দাবি, উত্তর-পূর্বের খারকিভ অঞ্চলে পাল্টা আক্রমণে তারা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে এবং সেখানকার ইজিয়াম, কুপিয়ানস্ক এবং বালাক্লিয়া শহরগুলি সহ অনেক এলাকা রুশ সেনার হাত থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেক শহর রাশিয়ার থেকে ছিনিয়ে নেবে ইউক্রেনের সেনা।
ইউক্রেনে লাগাতার আক্রমণ বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। যুদ্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্টকেই কাঠগড়ায় তুলেছে পশ্চিমের দেশগুলি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেমে এসেছে একের পর এক নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া। ওই বৈঠকে হিংসা ছেড়ে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছে ভারতও। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি হবে কিনা সে আশা এখনও তিমিরেই।