চিনকে ভরসা করতে রাজি নয় ভারত। যদিও যুদ্ধ নয়, এখনও কথাবার্তার মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে রাজি ভারতীয় সেনা। গত ৩-৪ দিন ধরে লাদাখের হট স্প্রিং এবং গোগরা এলাকায় ভারত এবং চিন, দুপক্ষই লিখিত চুক্তির মাধ্যমে কয়েক কিলোমিটার সেনা পিছনে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে। সেই মতো কাজ চলছে।
ভারতের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে জানিয়েছেন নির্ধারিত নিয়ম মেনেই দুই পক্ষ কাজ চালাচ্ছে। সব কিছু শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। কিন্তু চিন পেছনে সরে গেলেও কবে আবার ধোঁকা দিয়ে সেনা সামনে নিয়ে আসবে কেউ জানে না।
পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটারে চিনের সাথে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামগ্রিক পরিস্থিতি "যৌক্তিকভাবে শান্ত" এবং "দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণে", পূর্ব সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানা প্রতাপ কলিতা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন ভারতীয় সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেছিলেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফোকাস তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানো এবং এলএসি বরাবর চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর কার্যকলাপের উপর নজরদারি বাড়ানোর দিকে রয়েছে। পূর্ব লাদাখের ডেমচোক এবং ডেপসাং-এর ঘর্ষণ পয়েন্টে ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের মধ্যে ক্রমাগত মুখোমুখি সংঘর্ষের মধ্যে আসা মন্তব্যে এই অঞ্চলটি স্থিতিশীল ছিল এবং কোনও বড় "পরিবর্তন বা অবস্থানের স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি"।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল কলিতা বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী ক্রমাগত এলএসি বরাবর পিএলএ-র কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে এবং যে কোনো চ্যালেঞ্জ প্রশমিত করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, "আমরা সীমান্তে ক্রমাগত তদারকি করছি। আমরা আমাদের সীমান্তে প্রতিটি উন্নয়নের বিষয়ে সতর্ক এবং পর্যবেক্ষণ করছি।
ভারত শান্তির পক্ষে। চিন এবং আমরা চাই না উত্তেজনা বাড়ুক। আমরা আশাবাদী কথাবার্তার মাধ্যমেই চিনের সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে মুখে ভারত যাই বলুক না কেন, চিন সম্পর্কে সাবধান থাকতেই হবে। তাই এখনও এই এলাকায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার সেরা রয়েছে ভারতের তরফে।