কোনো মুসলিম ব্যক্তি মারা গেলে তার গোসল-কাফন দিয়ে দাফনের আগে জানাজা পড়তে হয়। জানাজা যারা পড়ে তাদের এক কিরাত (এক উহুদ পাহাড় সমপরিমাণ) সওয়াব হয়। কিন্তু যার জানাজা আদায় করা হয়; তার উপকারিতা কী?
হ্যাঁ, কারও জানাজায় যদি একশ মুসল্লি উপস্থিত হন তবে ওই ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। হাদিসের বর্ণনায় তা এভাবে ওঠে এসেছে-
১০০ জনের জানাজা
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
مَنْ صَلّٰى عَلَيْهِ مِائَةٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ غُفِرَ لَه
‘একশত মুসলিম কারও জানাজা পড়লে তাকে ক্ষমা করা হয়।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
৪০ জনের জানাজা: হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর মুক্তদাস কুরাইব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর এক ছেলে মারা গেলে তিনি আমাকে বললেন, হে কুরাইব! উঠে গিয়ে দেখো তো, আমার ছেলের জানাজায় কেউ এসেছে কি না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমার অমঙ্গল হোক, তুমি তাদের কতজনকে দেখলে, চল্লিশজন? আমি বললাম না বরং তারা আরও অধিক। তিনি বলেন, তোমরা আমার ছেলের লাশ নিয়ে বের হও। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, অন্তত চল্লিশজন মুমিন অন্য মুমিন ব্যক্তির সুপারিশ করলে, আল্লাহ তাদের সুপারিশ কবুল করেন।’ (ইবনে মাজাহ, মুসলিম, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)
তিন সারির জানাজা: হজরত মালিক ইবনু হুরায়রা আশ-শামি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি সাহাবি ছিলেন। হজরত মারসাদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, কোনো জানাজায় উপস্থিত হলে এবং লোকসংখ্যা কম হলে, তিনি তাদের তিন সারিতে কাতারবন্দি করে নামাজ পড়তেন। তিনি আরও বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো মৃতের জানাজায় মুসলিমদের তিন সারি লোক হলেই তা (জান্নাত) অবধারিত করে।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কারও জানাজা আহ্বান করলে জানাজায় উপস্থিত হয়ে তার মাগফেরাত কামনা করা। জানাজার নামাজে বেশি সংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত হওয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর আমল করে মৃত ব্যক্তির মাগফেরাত কামনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।