তাইওয়ান ইস্যুতে যেন রীতিমতো আগুনে ঘি ঢালল যুক্তরাষ্ট্র। তাইপের কাছে ১১০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, তাইওয়ানের নিরাপত্তায় পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা অব্যাহত রাখতেই এমন ঘোষণা। তবে শিগগিরই প্যাকেজটি কংগ্রেস অনুমোদন দেবে বলেও আভাস দেয়া হয়েছে। এদিকে একে বেইজিং-তাইপের সংঘাত পরিস্থিতি উসকে দিচ্ছে বলে দাবি চীনের। খবর আল জাজিরা।
তাইওয়ান ইস্যুতে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা দিয়েছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেছেন। তার ওই সফর নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তাইওয়ানের চারপাশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং। এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। তাইপের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে চান বাইডেন এমন খবরের সপ্তাহ না পেরোতেই বিক্রির অনুমোদন দিল মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। আর এতেই বেজায় চটেছে চীন।
শুক্রবার পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, তাইওয়ান প্রণালীতে সর্বজনীন নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্যাকেজটি চাইলে কংগ্রেস বাতিল করে দিতে পারে, তবে শিগগির প্যাকেজটি কংগ্রেস অনুমোদন দেবে বলেও আভাসই মিলেছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। মূলত অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার আগে কংগ্রেসের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক সিনেট কমিটি এবং প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
পেন্টাগনের বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, তাইপেকে সরবরাহের জন্য সম্ভাব্য সামরিক সরঞ্জামের তালিকায় রয়েছে ৬০টি জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১০০টি আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও একটি নজরদারি রাডার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন কর্মকাণ্ডকে চীন-তাইওয়ান সংঘাতে জড়ানোর উসকানিমূলক হিসেবে দেখছে বেইজিং। এতে করে উল্টো তাইপেকেই পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করে চীন। অস্ত্র বিক্রির এ পরিকল্পনা অবিলম্বে বাতিলের আহ্বানও জানিয়েছে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাজশাহীর সময় / এএম