তাইওয়ানের ভূখণ্ডে চীন সামরিক হামলা চালালে পাল্টা আক্রমণ করা হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তাইওয়ান। নিজস্ব জল ও আকাশসীমার সুরক্ষা নিশ্চিতের অধিকার তাদের আছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন কংগ্রেস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও ওয়াশিংটনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তাইপে সফর আর সবশেষ তাইওয়ানের আকাশে চীনা ড্রোনের আনাগোনা। সব মিলিয়ে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে বিদ্যমান চুক্তি অনুযায়ী, দ্বীপটিকে আত্মরক্ষায় সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (৩১ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র বলেন, তাইপের ভূখণ্ডে চীন সামরিক হামলা চালালে পাল্টা আক্রমণ করা হবে।
তাইওয়ানের ডেপুটি চিফ অব জেনারেল স্টাফ লিন ওয়েন–হুয়াং বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় সতর্ক অবস্থায় আছে। চীনা সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান এবং জাহাজ আমাদের সীমানার ২২ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকলে আমরা পাল্টা আক্রমণ চালাব। আমাদের নৌ ও বিমানবাহিনীকে সে জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিজস্ব জল ও আকাশসীমার সুরক্ষা নিশ্চিতের অধিকার আমাদের আছে।
এদিকে তাইওয়ানকে আবারও নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে চীন। একই সঙ্গে অঞ্চলটিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে বেইজিং।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান বলেন, পৃথিবীর মানচিত্রে চীন একটাই। আর তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কারা অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করছে তা আমরা জানি। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে উসকানি দিয়েছে। এরপর আমরা পাল্টা জবাব দিয়েছি, যা সঠিক এবং সময়োপযোগী ছিল। বাইডেন প্রশাসনের উচিত তাইওয়ানকে যে কোনো অর্থ সহায়তা দেয়া থেকে বিরত থাকা।
১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখলের পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইপেকে বরাবরই নিজেদের একটি অংশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। অন্যদিকে নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখে তাইওয়ান।