দোয়া কবুলের কার্যকরী পন্থা হচ্ছে, দোয়ার আদবকেতার দিকে লক্ষ্য রাখা। দোয়া করার বেশ কিছু আদব রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করলে আপনার দোয়াও কবুল হতে পারে। এর মধ্যে অনেকগুলোই হয়ত আমরা জানি, কিন্তু কিছু আছে যেগুলো আমরা মিস করে ফেলি:
১. দোয়ায় আল্লাহর নিয়ামত ও নিজ গুনাহ স্বীকার করা। যেমনটা আমরা 'সায়্যিদুল ইস্তিগফার' দোয়ায় দেখতে পাই।
২. তিনবার দোয়া করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়ায় তিনবার বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! কুরাইশকে পাকড়াও করুন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৩. দোয়ায় আল্লাহর ভয়ে কাঁদা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার সুরা ইবরাহিমের ৩৬ এবং মায়েদার ১১৮ নং আয়াত তেলাওয়াত করলেন। তারপর দুহাত তুলে বললেন, ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মত, আমার উম্মত; এবং কেঁদে ফেললেন। তখন আল্লাহ তাআলা জিবরিল আলাইহিস সালামকে বললেন, ‘মুহাম্মাদের কাছে যাও, তাঁকে জিজ্ঞাসা করো, যদিও আল্লাহ সর্বজ্ঞ; কেন তিনি কাঁদছেন।’ জিবরিল আলাইহিস সালাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে প্রশ্নটি করলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কান্নার কারণ জানালেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, হে জিবরিল! মুহাম্মাদকে গিয়ে বল, ‘নিশ্চয় আমি উম্মতের ব্যাপারে তোমাকে সন্তুষ্ট করবো, এ ব্যাপারে তোমাকে অসম্মান করবো না।’ (মুসলিম)
৪. দোয়া করার আগে নেক আমল করা। নামাজ, জাকাত, সাদকা ইত্যাদি নেক আমল করা। কেননা নেক আমল বান্দাকে আল্লাহর কাছাকাছি করে দেয়। বান্দা যদি নামাজ পড়ে কিংবা সাদকা করার পর আল্লাহর দরবারে কোনো দোয়া করে, তবে তা কবুল হওয়ার বেশি আশা করা যায়।
৫. একনিষ্ঠতার সঙ্গে দোয়া করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কবুলের বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করো এবং জেনে রাখো! আল্লাহ উদাসীন ও তামাশামগ্ন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না।’ (তিরমিজি)
৬. যথাযথ উপসংহারের মাধ্যমে দোয়া শেষ করা। এটি দোয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত ফলপ্রসূ। যেমন কোনো কিছু পাওয়ার ক্ষেত্রে দোয়া করলে উপসংহারে আল্লাহ তাআলার দানশীলতা-সূচক যে কোনো প্রশংসাবাক্য বেশি বেশি উল্লেখ করা। আর এতেই দেয়া কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এভাবে বেশি বেশি দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।