পরকীয়ার অপরাধে প্রেমিকাকে দিয়ে জুতোপেটা করানো হল এক যুবককে। এখানেই শেষ নয়, পরে তাঁকে থুতু চাটতেও বাধ্য করানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এমন নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল শিল্পাঞ্চল আসানসোল। অভিযোগ, গোটা ঘটনাটিই ঘটেছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সামনে!
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কুলটির রাণীতলা এলাকার ঘটনা। জানা গেছে, এলাকার বিবাহিত এক যুবক সমীর রাজা স্থানীয় এক যুবতীর সঙ্গে প্রেম করতেন। সেই পরকীয়ার কথা জানাজানি হতেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত ডেকে যুবককে মারধর করা হয়। এমনকি প্রেমিকাকে দিয়ে সমীরকে জুতোপেটা করানো হয়েছে। পরে ওই যুবতীর থুতু চাটাতেও বাধ্য করিয়েছে উপস্থিত জনতা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর নাজনীন বেগম ও তাঁর স্বামী খুরশিদ আনওয়ার ওই যুবককে এহেন কাজ করতে বাধ্য করান। শনিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুহূর্তে এই অমানবিক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নেট পাড়ায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গেছে।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কুলটি এলাকার বিজেপি নেতৃত্বর কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে জঙ্গল রাজ চালাচ্ছে। এই ঘটনাই তার প্রমাণ। সারা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা অত্যাচার চালিয়ে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অস্বীকার করেন। এতদিন অন্যান্য গ্রামাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া গেছে কিন্তু আসানসোলের শিল্পাঞ্চলে এই ঘটনা লজ্জাজনক।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ইন্দ্রাণী মিশ্র জানিয়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর নাজনীন বেগমের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। নাজনীন নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়াই করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে দল তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়।
