সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বাবার গলায় ছুরি চালিয়ে খুন করেছে ছেলে। ছেলের ছুরির আঘাতে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সৎমা। অভিযুক্ত ছেলেকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির জিরাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। মৃতের নাম চন্দ্রকান্ত সাহা (৬৫)। পাঁচ বছর আগে তাঁর প্রথম স্ত্রী মারা যান। দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন চন্দ্রকান্ত। সমস্যার শুরু এখান থেকেই। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর সম্পত্তি কে পাবে সেই নিয়ে ছেলে নীলকান্তের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়।
চন্দ্রকান্ত পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী। জিরাটে ভাড়া থাকেন তিনি। অশান্তির জেরে ছেলে তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। ডায়মন্ড হারবারে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে থাকতেন নীলকান্ত। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বাবার সঙ্গে বোঝাপড়া করতে জিরাটে চলে আসেন তিনি। টাকাপয়সা এবং সম্পত্তি নিয়ে বাদানুবাদ চরমে ওঠে। হঠাৎই বাবার গলায় ছুরি চালিয়ে দেন নীলকান্ত।
অভিযোগ, নীলকান্তের সৎমা অঞ্জনা সাহা বাধা দিতে গেলে তাঁর উপরেও হামলা হয়। বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর গলাতেও ছুরি চালিয়ে দেন নীলকান্ত। শ্বাসনালি কেটে যায় অঞ্জনার।
চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। নীলকান্ত পালিয়ে যান। তড়িঘড়ি বৃদ্ধ দম্পতিকে জিরাট আমদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান বৃদ্ধ। শ্বাসনালি কেটে যাওয়ায় নলের মাধ্যমে কৃত্রিম ভাবে অঞ্জনার শ্বাসকার্য চালানো হচ্ছে বলে খবর।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলাগড় থানার পুলিশ। তারা জানিয়েছে, বাবাকে খুন করার ছক কষেছিলেন অভিযুক্ত নীলকান্ত। পরিকল্পনামাফিক নিয়ে এসেছিলেন ছুরি। তাঁর ধারণা, সৎমায়ের প্ররোচনাতেই বাবা তাঁকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন। খুনের পর রেললাইন ধরে বলাগড়ের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের সাহায্যে নীলকান্তকে ধরা হয়। বুধবারই তাঁকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হবে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করবে পুলিশ।