তাইওয়ান সন্নিহিত এলাকায় চিনের সামরিক তৎপরতা বেড়েই চলেছে। দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, তাইওয়ানের আশেপাশে অন্তত ১২টি চিনা যুদ্ধবিমান এবং ৫টি চিনা রণতরী শনাক্ত করা হয়েছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরও দাবি, ৫টি চিনা যুদ্ধবিমান এদিন তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
এই মধ্যরেখা আসলে চিন ও তাইওয়ানের বিভাজন রেখা। আন্তর্জাতিক জল ও আকাশসীমা আইন অনুযায়ী, দুই দেশের সীমান্তবর্তী ওই এলাকাতেই চিন অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে। চিন যেহেতু তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলেই দাবি করে, সেহেতু তারা কোনও দিনই ওই বিভাজন রেখাকে মানেনি। এখনও মানে না। কিন্তু তাইওয়ানের দিক থেকে রেখাটি গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। ফলে চিনা বোমারু বিমান মধ্যরেখা অতিক্রম করে ঢুকে গেছে মানে বিষয়টা তাইওয়ানের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের।
আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফরের পরেই তাইওয়ানকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ধরেছে চিন। তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকেছে ২৫টি ফাইটার বোম্বার জেট, এইচ-৬ বোমারু বিমান, সুখোই-৩০, ইলেক্ট্রোনিক ওয়ারফেয়ার, সাবমেরিন ধ্বংসী ও ট্যাঙ্কার বিমান। চিনের বোমারু বিমান চক্কর কাটছে। চিনের জে-২০ চেংড়ু ফাইটার জেট হল পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। পিপলস লিবারেশন আর্মির জন্য এই শক্তিশালী ফাইটার জেট বানানো হয়েছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাচ্ছে, যে ৫টি বিমান মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাদের মধ্য়ে আছে জেএইচ-৭ ফাইটার জেট, সুখোই-৩০ ও জে১১ ফাইটার জেট। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আগেই জানিয়েছে, মহড়া চলাকালীন চিনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড নতুন করে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান ও পাঁচটি জাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন করেছে। তবে পিছিয়ে নেই তাইওয়ানও। তাইওয়ানও তাদের শক্তি প্রদর্শন শুরু করে দিয়েছে। জেনারেল ডায়নামিক্স এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন আমেরিকার তৈরি অত্য়াধুনিক যুদ্ধবিমান যা তাইওয়ানের কাছে রয়েছে। মার্কিন বিমানবাহিনী, এয়ার ফোর্স রিজার্ভ কমান্ড ও এয়ার ন্যাশনাল গার্ড এই ফাইটার জেট ব্যবহার করে।