বাবার বন্ধু বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি কলেজ পড়ুয়া তরুণী। সেই ছিল তাঁর 'অপরাধ'। সে জন্য ওই তরুণীকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল বাবার বন্ধু ও তাঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই তরুণীকে জুতো চাটতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েক জন মিলে তাঁকে চেপে ধরে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। চোখের ভ্রুও কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে। লাহোর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে ফৈজলাবাদের ওই কলেজ ছাত্রীর উপর নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এর পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। ঘটনায় মুখ্য অভিযুক্ত সহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে, শেখ দানিশ নামের এক বয়স্ক ব্যক্তি ওই কলেজ তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অভিযুক্ত ওই তরুণীর বাবা বন্ধু। তিনি একটি কারখানার মালিক। কিন্তু তাঁর বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ওই তরুণী। তার পর নিগ্রহের শিকার হতে হয় তাঁকে। পঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন, "মূল অভিযুক্ত দানিশ এবং তাঁর মেয়ে-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।"
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকেন। তাঁর দুই ভাই থাকেন ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ায়। ঘটনা নিয়ে ওই তরুণী বলেছেন, "আমার বাবার বন্ধু শেখ দানিশ আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমার পরিবার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। দানিশ আমার বাবার বয়সি। এ কথা বলার পরই ক্ষেপে ওঠেন তিনি।" তিনি আরও বলেছেন, "৮ অগস্ট আমার ভাই ব্রিটেন থেকে ফিরেছিল। দানিশে্র বিয়ের প্রস্তাবে না করে দেয় ভাই। এর পর দানিশ ১৪ জনকে নিয়ে এসে আমাকে ও আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়।" তারপরই নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি ওই তরুণী যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে দানিষের বিরুদ্ধে। এবং ১০ লক্ষ পাকিস্তান রুপি না দিলে সেই সব ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী।