যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীনকার্ড পাওয়ার আগেই মারা যাবে ১৬ লাখ অভিবাসন প্রত্যাসী মানুষ (আবেদনকারী)। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগে নতুন গ্রীনকার্ডের জন্য পাহাড় সমান আবেদনপত্র জমা পড়ে আছে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গ্রীনকার্ডের জন্য ৮৬ লাখ বা ৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। এসব আবেদনপত্রের এমন স্থির প্রক্রিয়া চলতে থাকলে গ্রীনকার্ড হাতে পাওয়ার আগেই ১.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৬ লাখ অভিবাসন প্রত্যাসী মানুষ (আবেদনকারী) মারা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি এর আগে কখনও দেখা যায়নি। সাম্প্রতি লসএঞ্জেলেস টাইমসে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
গত ৩০ বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা, গ্রীনকার্ড ও নাগরিকত্বের আবেদন বেড়ে চলেছে। কিন্তু সে তুলনায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের কাজের গতি ও জনবল বাড়েনি। এ’ছাড়া ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক্যানদের ক্ষমতার মহড়ায় এই বিভাগের কাজকর্ম কয়েক বছর পরপরই ঝুলে পড়ে। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইমিগ্রেশন বিরোধী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আমলে। কোভিড-১৯ ইমিগ্রেশনে জ্যাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বাইডেন দায়িত্ব নেবার পর আশার বাণী শোনালেও কাজের গতি বাড়েনি। আত্মীয়-স্বজনের জন্য কেউ ইমিগ্রেশন বা গ্রীনকার্ডের আবেদন করলে তা হাতে আসতে ২০ বছরও লেগে যায়। অপেক্ষায় থাকাবস্থায় অনেকেই মারা যান। স্বপ্নের আমেরিকা দেখার সুযোগ তাদেও আর হয় না। লসএঞ্জেলস টাইমসের জরিপে উঠে এসেছে ১৬ লাখ আবেদনকারি আগামী কয়েক বছরে মারা যাবে গ্রীনকার্ড হাতে পাবার আগেই।
ইমিগ্রেশনে আগ্রহী বাংলাদেশিদের দূরবস্থা ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি হতাশাজনক। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিভাগ-এর ওয়েবসাইটে ভাইবোনদের জন্য আবেদনের অপেক্ষাকাল ১২-১৩ বছর দেখালেও লেগে যাচ্ছে ১৫-১৬ বছর। বিবাহিত সন্তানের জন্য আবেদন করেও ১৫ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে যাবার দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। অনেকের সবকিছু রেডি থাকলেও ভিসার জন্য ইন্টারভিউ নিতে অনেক সময় নেয়া হচ্ছে। ইন্টারভিউ এর তারিখ বার বার পরিবর্তন করে বছরেরও বেশি সময় পার করে দিচ্ছে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।