২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৯:৫৯:০৩ পূর্বাহ্ন


ভাসুরের কু-প্রস্তাব আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে খুন করলো পল্লবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৮-২০২২
ভাসুরের কু-প্রস্তাব আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে খুন করলো পল্লবি ভাসুরের কু-প্রস্তাব আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে খুন করলো পল্লবি


ভাসুরের কু-প্রস্তাব আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে খুন করলো পল্লবি। তিনি কাউকে ভয় পান না, আরও অনেককে খুন করতে পারেন! 

তাকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে মহিলা পুলিশ হেফাজতে। 

পুলিশ সূত্রের জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে পল্লবী জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই সে শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার। এমনকি বাদ যায়নি তার পুত্রসন্তানও। দেবরাজের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করায় তাকে মেনে নেয়নি পরিবার। এমনকি ভাসুর দেবাশিষ ঘোষ তাকে কুপ্রস্তাবও দিত বলে দাবি করেছে সে। রাজি না হওয়ায় ভয় দেখাত। কয়েকবার শ্লীলতাহানিও করে।

পল্লবীর আরও দাবি, এই নিয়ে থানায় অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। শাশুড়ি ও ভাসুর তাকে মাঝেমধ্যেই গালিগালাজ ও মারধর করত চুলের মুঠি ধরে। সব মিলিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এমনিতেই তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল, এর পরে এত নির্যাতনে সে ক্রমশই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। চিকিৎসাও চলছিল তার, অনেকরকমের ওষুধ খেতে হতো বলেও দাবি। 

পল্লবী পুলিশকে আরও জানিয়েছে, তাদের শ্বশুরবাড়ির হুগলির ভদ্রেশ্বরে একটা সম্পত্তি আছে। আগে ভাসুর সপরিবার সেখানেই থাকত। কিন্তু সম্প্রতি হাওড়ার বাড়িটিরও দখল নিতে চেয়েছিল তারা। তাই মাঝেমধ্যে এখানে এসে থাকত।ঘটনার কয়েকদিন আগেও তারা এসে এখানেই থাকছিল। এর মধ্যেই সম্পত্তির ভাগ নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে।

পুলিশ জেরায় আরও জানতে পারে, ঘরে থাকা একটি বড় কাটারি কয়েকদিন আগে শান দিয়েও নিয়ে এসেছিল পল্লবী।তবে তার দাবি, সেটা দেখিয়ে ভয় দেখাবে বলে ভেবেছিল সে। কিন্তু বিবাদের সময়ে প্রবল আক্রোশে রাগ চরমে ওঠে। তাই প্রথমেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে সে খুন করে ভাসুরকে। তার পর শাশুড়ি, বৌদি ও তাদের মেয়েকেও খুন করে।

পল্লবীর আরও দাবি, এই নিয়ে থানায় অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। শাশুড়ি ও ভাসুর তাকে মাঝেমধ্যেই গালিগালাজ ও মারধর করত চুলের মুঠি ধরে। সব মিলিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এমনিতেই তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল, এর পরে এত নির্যাতনে সে ক্রমশই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। চিকিৎসাও চলছিল তার, অনেকরকমের ওষুধ খেতে হতো বলেও দাবি। 

পল্লবী পুলিশকে আরও জানিয়েছে, তাদের শ্বশুরবাড়ির হুগলির ভদ্রেশ্বরে একটা সম্পত্তি আছে। আগে ভাসুর সপরিবার সেখানেই থাকত। কিন্তু সম্প্রতি হাওড়ার বাড়িটিরও দখল নিতে চেয়েছিল তারা। তাই মাঝেমধ্যে এখানে এসে থাকত।ঘটনার কয়েকদিন আগেও তারা এসে এখানেই থাকছিল। এর মধ্যেই সম্পত্তির ভাগ নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে।

পুলিশ জেরায় আরও জানতে পারে, ঘরে থাকা একটি বড় কাটারি কয়েকদিন আগে শান দিয়েও নিয়ে এসেছিল পল্লবী।তবে তার দাবি, সেটা দেখিয়ে ভয় দেখাবে বলে ভেবেছিল সে। কিন্তু বিবাদের সময়ে প্রবল আক্রোশে রাগ চরমে ওঠে। তাই প্রথমেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে সে খুন করে ভাসুরকে। তার পর শাশুড়ি, বৌদি ও তাদের মেয়েকেও খুন করে।

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্ৰহ করেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত কাটারিও। ঘটনার পর থেকেই পলাতক পল্লবীর স্বামী দেবরাজ ঘোষ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।