২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৯:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন


ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে উত্তর কোরিয়া, পুতিনকে ১ লাখ সেনা পাঠাবে কিম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৮-২০২২
ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে উত্তর কোরিয়া, পুতিনকে ১ লাখ সেনা পাঠাবে কিম ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে উত্তর কোরিয়া, পুতিনকে ১ লাখ সেনা পাঠাবে কিম


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে কিমের দেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত ডনবাসে রাশিয়াকে ১ লাখ সেনা পাঠিয়ে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ইউক্রেনের ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে রাশিয়ার সমর্থনেই দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে কিম জং উনের দেশ।

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যে ডোনেৎস্ক অঞ্চলে সেনা পাঠানোর প্রস্তুতি শুরুও করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। লুহাস্কেও সেনা পাঠাবে উত্তর কোরিয়া। ক্রেমলিনের সমর্থক এক নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, মস্কোর প্রস্তাব মেনে ১ লাখেরও বেশি সেনা ডনবাসে পাঠাতে চলেছে উত্তর কোরিয়া। এর বদলে কিমের দেশকে মস্কো পাঠাবে বিপুল পরিমাণ আনাজ-খাদ্যদ্রব্য সহ এনার্জি।

ইউক্রেনের একের পর এক শহর দখল করেছে, ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছে ইউক্রেনকে। বহু ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। কিন্তু এর পরেও রাশিয়ার কিয়েভ দখলের স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ইউক্রেনে একন রুশ সেনাও বিপর্যয়ের মুখে। ইউক্রেন বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে রুশ সেনা তেমন সুবিধা করতে পারছে না। 

ইউক্রেনের দক্ষিণে বন্দর শহর মারিউপোল বেশ কিছুদিন ধরে অবরোধ করে রেখেছিল রুশ সেনারা । শহরের মধ্যে আজভস্তাল স্টিলওয়ার্কস নামে কারখানা চত্বরে ছিল ইউক্রেনের কয়েকশ সেনা। কিয়েভ থেকে জানানো হয়, আজভস্তাল স্টিলওয়ার্কস ছিল ‘প্রতিরোধের প্রতীক’ । সেখানে বাঙ্কারের মধ্যে ছিল ৬০০ ইউক্রেনীয় সেনা। তারাই এতদিন রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে ঠেকিয়ে রেখেছিল।

বেগতিক দেখে এখন উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া থেকে অস্ত্রশস্ত্র আনানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে ছ’মাসব্যাপী যুদ্ধে বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সিরিয়া থেকেও অস্ত্র আনানোর প্রয়োজন পড়ছে রাশিয়ার।  জানা গেছে, সিরিয়া থেকে তুরস্কের বসফরাস প্রণালী হয়ে অস্ত্রসস্ত্র আনাচ্ছে রাশিয়া। ওয়াশিংটন সূত্রের দাবি, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে ইউরোপ, আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়াকে নিজস্ব অস্ত্র ভান্ডারের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে। সেই কারণে ইরান, সিরিয়া থেকে অস্ত্র আনাচ্ছে মস্কো।