ফেসবুকে হুগলির এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় যুবকের। তা থেকে প্রেম এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। এর পর গয়না, টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিলেন উত্তরাখণ্ডের যুবক। এমনই অভিযোগ তুলেছেন হুগলির এক তরুণী। চন্দননগর আদালত মারফত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই তরুণী।
বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া পুলিশ লাইনসে ডিসি (সদর) নিধি রানির সঙ্গে দেখা করেন ওই নির্যাতিতা। ডিসি তাঁকে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
হুগলির ওই তরুণী পেশায় পানশালার গায়িকা। তাঁর বাড়িতে ৩০টিরও বেশি কুকুর রয়েছে। তাঁর দাবি, মাস পাঁচেক আগে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে তাঁর ফেসবুকে পরিচয় হয়।
তরুণীর দাবি, ওই যুবকের মামারবাড়ি হুগলিতে। আত্নীয়তার সূত্রে তরুণীর সঙ্গে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। মাস চারেক আগে তাঁর বাড়িতে চলে আসেন ওই যুবক। যুবকের ব্যবহারে তরুণীর মা-ও খুব সন্তুষ্ট হন। এর পর দু’জনের বিয়ে ঠিক হয়। ওই যুবককে একটি রেস্তরাঁ করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল করেন তরুণী। সে জন্য তিনি ৬৫ হাজার টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন। এরই মধ্যে সহবাসের ফলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ওষুধ খাইয়ে ওই যুবক তাঁর ভ্রূণ নষ্ট করে। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।
তরুণীর আরও অভিযোগ, গত ৮ মে তাঁর বাড়িতে চড়াও হন ওই যুবকের মা, বাবা এবং মামা। তাঁকে মারধর করা হয়। এর পর গত ৮ ই জুন তাঁর গয়না-টাকা নিয়ে ওই যুবক চম্পট দেয়। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এর পর তিনি আদালত মারফত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সেই মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি।
বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া পুলিশ লাইনসে ডিসি (সদর)-র সঙ্গে দেখা করেন ওই তরুণী।